দৌলতপুর প্রতিনিধি
কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার রাজ পরিবারের সন্তান, উপজেলা বি এন পির সাধারণ সম্পাদক শহীদ সরকার মঙ্গল এর রাজনৈতিক জীবন।
ফেসবুক থেকে সংগৃহীত,
আমার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বা সম্পৃক্ততার কথা কিছু বলতে চাই আমি ১৯৬৮ সালে তখনকার চার আনা পয়সা দিয়ে ছাত্র ইউনিয়নের সদস্য হয়ে ছিলাম। পরবর্তীতে স্বাধীনতার ডাক আসে আন্দোলন হয় ছাত্র জীবন সেসব কর্মকাণ্ড ১৯৭১ সালে এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলাম যুদ্ধ শুরু হয়ে গেল ভারতে চলে গেলাম আমরাই স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম এসএসসি পরীক্ষার্থী পরবর্তীতে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় খেলোয়ার কোটায় আমি প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ১৯৭৪ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। বিশ্ববিদ্যালয় পড়াকালীন সময়ে আমি ছাত্র মৈত্রী রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলাম আমি এস এম হল শাখার ছাত্র মৈত্রী আহ্বায়ক ছিলাম তখন বিএনপির জন্ম হয়নি।রাজশাহী থেকে পাশ করে এসে আমি ব্যবসা কুষ্টিয়া শহরের স্বনামধন্য ছাপাখানা মরুদ্যান মুদ্রায়ন নামে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিল ।রাজনৈতিক সচেতনতা ছিল আমার ভাই মরহুম রবিউল ইসলাম সরকার দৌলতপুর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন জিয়াউর রহমানের সাথে তুরস্কসহ সৌদি আরবে ওমরা হজ্ব করেন। তিনি গোল মেডেলিস্ট চেয়ারম্যান ছিলেন তার মৃত্যুর পরে আমি এবং দলীয়ভাবে দৌলতপুর বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয়।রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র অবস্থায় আমার নামে হুলিয়া হয় তখনও আমাকে আত্মগোপনে যেতে হয়। আমি২০০০ সাল থেকে সাধারণ সম্পাদক দৌলতপুর উপজেলা বিএনপি।২০১৮ সালের নির্বাচনে আমি জেলে যাই। আমার পৈতৃক বাড়ি রিফাইতপুর থেকে গ্রেফতার করে।
আমি ২০১৮ এবং ২০২৩এ দুইবার জেলে ছিলাম,
আমার ভাই ছিলেন অত্যন্ত জনপ্রিয় একজন মানুষ নাম ছিল রবিউল ইসলাম সরকার । আমার বাবা ছিলেন রিফায়েতপুর ইউনিয়নের আমৃত্যু চেয়ারম্যান আমার ভাই ও ছিলেন ইউনিয়নের বারবার নির্বাচিত আমূত্য চেয়ারম্যান পরবর্তীতে প্রত্যক্ষ ভোটে আমার ভাবি জাহানারা বেগম রানু ওই ইউনিয়ন থেকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন । পরবর্তীতে তার ছেলে আবিদ হাসান মনটি সরকার বিএনপি’র প্রার্থী হয়ে দুইবার ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছিল নিজেদের মানুষের কিছু উদ্দেশ্য হীনতার কারণে কাঙ্খিত ফলাফল ঘরে তুলতে পারেনি। তারপরেও বিরোধী দল থাকা অবস্থায় সঠিকভাবে মানুষ ভোট প্রয়োগ করতে পারেনি। আমি দুইবার দৌলতপুর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলাম প্রথম দুই হাজার ২০০৯ পরবর্তী ২০১৪ সে সময়ও বিএনপির বিরোধী দলের ছিল সরকারি দল আমার ভোটের রেজাল্ট কে মিডিয়া কু্্যকরে অন্য প্রার্থীদের বিজয়ী করেছিল আমি প্রচুর পরিমাণে ভোট পেয়েও নির্বাচিত হতে পারেনি। চলবে