মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধি:
বিএনপি’র নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ঝিনাইদহ-৪ (কালীগঞ্জ ও সদরের একাংশ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য, ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি, বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ, শহিদুজ্জামান বেল্টু ইন্তকাল করেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। সোমবার (২৮ অক্টোবর) রাত পোনে ১২ টার দিকে নিজ বাসায় অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। দ্রুত তাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে, শহীদুজ্জামান বেল্টু ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার হাসনহাটি গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। ছাত্র জীবনে তিনি ছাত্র ইউনিয়নের রাজনীতির মাধ্যমে রাজনীতি শুরু করেন। পরে বেল্টু এরশাদ সরকারের সময়ে জাতীয় পার্টিতে যোগদান করেন। এরশাদের পতনের পর তিনি বিএনপিতে যোগদান করেন এবং ১৯৯১ সালের নির্বাচনের অংশ নিয়ে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর তিনি ২০০১ সাল পর্যন্ত পর পর চারটি নির্বাচনে অংশ নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। বেল্টু সংসদ সদস্য থাকাকালে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি, জেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতির ও মৃত্যুর আগ পর্যন্ত দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে এলাকার স্কুল, কলেজ, ব্রীজ ও গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা-ঘাটসহ বিভিন্ন অবকাঠামোর উন্নয়ন করেন। তার প্রথম জানাযা মঙ্গলবার বেলা ১১টায় ঝিনাইদহ শহরের উজির আলী স্কুল মাঠে এবং দুপুর ২টায় কালীগঞ্জ সরকারি ভুষন স্কুল মাঠে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সর্বশেষ এশা বাদ তার গ্রামের বাড়ি কালীগঞ্জ উপজেলা হাসনহাটি গ্রামে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। বিএনপি নেতা শহীদুজ্জামান বেল্টুর মৃত্যুতে তার নিজ নির্বাচনী এলাকাসহ জেলাতে শোকের ছায়া নেমে আসে। মৃত্যুর খবর পেয়ে নেতাকর্মীরা দলে দলে ঝিনাইদহ শহরের কলাবাগান পাড়াস্থ বেল্টুর নিজ বাসভবনে জড়ো হয়। এদিকে বিএনপি নেতা বেল্টুর মৃত্যুতে বাংলাদেশের এটর্নি জেনারেল এ্যাড আসাদুজ্জামান, বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, জেলা বিএনপি’র সভাপতি এ্যাড এম এ মজিদ ও সাধারণ সম্পাদক জাহিদুজ্জামান মনা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।