মোঃ মশিউর রহমান সুমন।
মেহেন্দিগঞ্জ, (বরিশাল) প্রতিনিধিঃ
কিছুদিন আগে লঘুচাপের কারনে নদীতে অস্বাভাবিক জোয়ারে মেহেন্দিগঞ্জের বিভিন্ন নদ- নদীতে পানি ঢুকে পড়ে।এর ফলে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পানিতে ডুবে যায়। এই পানি নেমে যাওয়ার পর থেকেই নদীভাঙ্গন তীব্র আকার ধারণ করেছে।বিলীন হয়ে যাচ্ছে বসতভিটা, স্কুল, কলেজ, ও কৃষিজমি।ভাঙ্গনে অসহায় হয়ে পড়েছে মেহেন্দিগঞ্জের ৫ নদী পাড়ের মানুষ।
এদিকে অব্যাহত নদী ভাঙ্গনের ফলে ক্রমেই ছোট হয়ে আসছে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার মানচিত্র। চলতি বর্ষা মৌসুমে উজান থেকে নেমে আসা পানি মেঘনা, গজারিয়া, তেতুলিয়া, কালাবদর, ও ইলিশা নদীর তীরবর্তী এলাকায় ব্যাপক নদীভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। সবচেয়ে বেশি নদীভাঙ্গনের শিকার হচ্ছে এই উপজেলার সদর ইউনিয়নের রুকুন্দি ও সাদেকপুর গ্রাম এবং চর এককরিয়া ইউনিয়নের উত্তর চর গ্রাম। এখানে প্রতিদিনই বিলীন হয়ে যাচ্ছে কোনো না কোনো বসতবাড়ি ও ফসলি জমি। এছাড়াও মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার চরগোপালপুর ইউনিয়নের আমীরগঞ্জ রাস্তার মাথা, আলীমাবাদ ইউনিয়নের মাঝকাজী, গাগুরিয়া, শ্রীপুর ইউনিয়নের শ্রীপুর বাজার এবং উলানিয়া, চানপুর ও দড়িচর খাজুরিয়া ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ভাঙ্গন প্রতিরোধে এখনই কার্যকর ব্যবস্থা না দিলে হারিয়ে যেতে পারে মেহেন্দিগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন হাট -বাজার, মাধ্যমিক – প্রাথমিক বিদ্যালয়, মসজিদ, বসতবাড়ি, ফসলি জমিসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে অচিরেই একটি কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য সরকারের উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।