লোহাগড়া প্রতিনিধি নড়াইল
নড়াইলের লোহাগড়া সরকারি আর্দশ মহাবিদ্যালয়ে বাউবির কেন্দ্রে এইচ এসসি পরীক্ষায় ২০২৫ প্রথম বর্ষে দেহ পরিবর্তন করে পরীক্ষা দেওয়ার অভিযোগের সত্যতা মিলেছে।
গত ১১ জুলাই শুক্রবার অনুষ্ঠিত বাউবির এইচএসসির ১ম বর্ষের পরীক্ষায় লোহাগড়া সরকারি আর্দশ মহাবিদ্যালয়ের বাউবি কেন্দ্রে এঘটনা ঘটেছে। সুত্রে জানাগেছে ওই দিন আহাদুজ্জামান বাটু সহ ৩ জন পরীক্ষার্থীর পরিবর্তে অন্য ৩ জন পরীক্ষা দেন। পরীক্ষার আধা ঘণ্টা পার হওয়ার পর কর্তব্যরত শিক্ষক পীযুষ কান্তি রায় তাকে সনাক্ত করেন,এবং তিনি বলেন ওই পরীক্ষার্থী আহাদুজ্জামান বাটু ও ২ জন ছিলেন না তারা ছিলো অন্য লোক। তখন তিনি বিষয়টি কতৃপক্ষকে অবহিত না করে খাতা রেখে তাকে ছেড়ে দেন। এঘটনায় ধামা চাপা দেওয়ার জন্য বাউবির কতৃপক্ষ কাউকে জানান নাই।
তবে সাংবাদিকরা বাউবির লোহাগড়ার কেন্দ্র সচিব ও লোহাগড়া সরকারি আর্দশ কলেজের অধ্যাক্ষ মোঃ রেহেবার দারাজ বলেন ৩ টি রোল নং ব্যাক্তিরা হলেন মোঃ নাজমুল হুদা,মোঃ আহাদুজ্জামান বাটু ও মোঃ তানভীর মোল্যা। স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে উল্লেখিত ব্যাক্তিরা হলেন যথাক্রমে ২৪-০-১১-৪৫১-০২২, রোল নং টি মোঃ নাজমুল হুদা, জয়পুর ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব, ২৪-০-১১-৪৫১-০২৩ রোল নং টি লোহাগড়া উপজেলার বিএনপির সভাপতি মোঃ আহাদুজ্জামান বাটু, ২৪-০-১১-৪৫১-০২৪ রোল নং টি লোহাগড়া উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহব্বায়ক মোঃ তানভীর মোল্যা। উল্লেখিত ব্যাক্তিরা দলীয় প্রভাব খাটিয়ে তারা নিজেরা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করে অন্যকে দিয়ে পরীক্ষায় দেওয়ার অপরাধে বাউবি কতৃপক্ষ তাদেরকে নীরব বহিষ্কার করেন।
এঘটনায় এলাকায় তোলপাড় শুরু হলে ৩১ জুলাই বৃহস্পতিবার বেলা ১১ দিকে এক থেকে দেড়শ লোক লোহাগড়া কলেজে উপস্থিত হয়ে ঘটনা জানতে চাইলে কেন্দ্র সচিব ও কলেজের অধ্যাক্ষ মোঃ রেহেবার দারাজ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে তাদের নাম ঘোষনা করেন। এঘটনায় গতকাল প্রফেসর সুমন সাংবাদিকদের ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন।
এই ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন মোঃ আবু রিয়াদ বলেন বিষয়টি ৫ দিন আমার প্রতিনিধি আমাকে অবহিত করেন । তারপর ঘটনা সাংবাদিকরা জানতে পেরে লোহাগড়া কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ রেহবার দারাজ সাথে কথা বল্লে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। কিন্ত কেন্দ্র কমিটির শিক্ষক বাবু বিশ্বদেব, কেন্দ্রে কর্মরত শিক্ষক পিযুষ কান্তি রায় ঘটনার সত্যতা অকপটে স্বীকার করেন। অপরদিকে ওই কলেজের শিক্ষক বাউবি পরীক্ষা কমিটির আহব্বায়ক মোঃ খায়রুজ্জামান ও ঘটনার সত্যতা শিকার করেছেন।
এদিকে দিকে বাউবির নড়াইল জেলার উপ- পরিচালক মোঃ মতিয়ার রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন সকল প্রকার কাগজ কেন্দ্রে জমা আছে। আপনারা সরাসরি দেখা করেন।
এবিষয়ে লোহাগড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবু রিয়াদের সংগে ফোনে কথা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। আমি যে প্রতিনিধি নিয়োগ করে ছিলাম তিনি ৫ দিন পরে আমাকে তথ্য দিয়েছেন।
এনিয়ে এলাকায় সচেতন মহলে সমলোচনার ঝড় উঠেছে।দলীয় প্রভাব খাটিয়ে এমন কাজ ঠিক হয় নাই। ঘটনায় শিক্ষা ব্যাবস্থা মুখ থুবড়ে পড়বে।