মোঃ রিপন রেজা স্টাফ রিপোর্টার নারায়ণগঞ্জঃ
একটি বাড়িতে বিদ্যুতের শর্ট সার্কিটের কারণে ফ্রিজের কম্প্রেসার বিস্ফোরণের ঘটনায় নারী-শিশুসহ একই পরিবারের ৯ জন দগ্ধ হয়েছেন।তাদের সকলের বাড়ি কুমিল্লার দেবীদ্বারে।নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জের নাসিক ১ নং ওয়ার্ডের রনি সিটি মার্কেট আবাসিক এলাকার পাইনাদি মুড়ি ফ্যাক্টরির গলি জাকির খন্দকারের টিনশেড বাড়িতে শুক্রবার দিবাগত রাত প্রায় সাড়ে তিনটার দিকে(ভোর রাতে)এ ঘটনা ঘটে।তাৎক্ষণিক খবর পেয়ে কাঁচপুর ও ইপিজেড, ফায়ার সার্ভিসের দুটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।আহতরা হলেন,রাইয়ান (১ মাস),তাহেরা (৬৫),হাসান (৩৭),সালমা (৩০), মুনতাহা (১১), তিশা (১৬),আসমা (৩৫),জান্নাত (৪),আরাফাত (১৩)।তাদের উদ্ধার করে ভ্যান ও অটোরিকশার মাধ্যমে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়।তাদের মধ্যে তাহেরা বেগমকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং ৮ জনকে জাতীয় বার্ন এবং প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।আহতদের মধ্যে আসমা শরীরের ৪৮ শতাংশ,তিশা ৫৩ শতাংশ, আরাফাত ১৫ শতাংশ, হাসান ৪৪ শতাংশ, জান্নাত ৪০ শতাংশ, ইমাম উদ্দিন ৩০ শতাংশ, সালমা বেগম ৪৮ শতাংশ, মুনতাহা ৩৭ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে রাজধানীর জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্ল্যাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানিয়েছেন এ হাসপাতালের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান।অপর দগ্ধ তানজিল স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানিয়েছেন তার স্বজনরা।অগ্নিদগ্ধদের পরিবার সূত্রে জানা যায়-দগ্ধদের শারীরিক অবস্থা গুরুতর। অগ্নিদগ্ধদের এক বোন গত ৩ মাস আগে তার মেয়ের জামাই হাসানের বাসায় বেড়াতে এসেছিল।রাত প্রায় ৩টার দিকে বিকট শব্দে ঘরের মধ্যে আগুন ধরে যায় এবং টিনের চালাও কিছুটা ছুটে যায়।স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়-অগ্নিদগ্ধ হাসানের শ্বশুর আব্দুর রশিদ এই বাড়ির কেয়ারটেকার হিসেবে থাকতো।কিছুদিন আগে রশিদ মারা যান।তার তিন মেয়ে, জামাই ও নাতি নাতনি আঁধা পাকা সেমি বাড়িতে তিনটি কক্ষে ভাড়া থাকতো।এর মধ্য দুটি কক্ষের সবাই অগ্নিদগ্ধ হয়েছে।স্থানীয়রা আরো বলেন-ধারণা করা হচ্ছে বিদ্যুতের শর্ট সার্কিটের কারণে ফ্রিজের কম্প্রেসারের বিস্ফোরণের কারণে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।আদমজী ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মোঃ মীরন মিয়া বলেন-বিদ্যুতের শর্ট সার্কিটের কারণে ফ্রিজের কমপ্রেসার বিস্ফোরণের কারণে এ ঘটনা ঘটেছে।সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুর আলম বলেন-ঘটনা তদন্ত না করে সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না কীভাবে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।