রাসেল কবির// বরিশাল জেলার মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার ১২ নং দড়িচর খাজুরিয়া ইউনিয়নের নলবুনিয়া লঞ্চঘাট সংলগ্ন নদীর পাড় অভিনব কায়দায় ইলিশ মাছের বাজার। সূত্রে জানা গেছে নদীর পাড় ভোর ৫ টা থেকে শুরু করে রাত ১২টা পর্যন্ত হরদমে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ মাছ। অসাধু জেলেরা সকলকে ফাঁকি দিয়ে নদী থেকে মাছ ধরে নালবুনিয়া লঞ্চ ঘাট সংলগ্ন রাস্তার পাশে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও মাছের বাজার বসছে দেখার মত কেউ নেই। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে সরকারি আইন বেঁধে দেওয়া নিয়ম মানছে না আসাধু জেলেরা।নদীর পাড়ের লোকজন জানায় প্রশাসন ম্যানেজ করে নদীতে মাছ ধরছে জেলেরা। স্থানীয় সচেতন মহল বলছে প্রকাশ্য মাছের বাজার বসছে নলবুনিয়া লঞ্চ ঘাট। প্রশাসনের নজরে জানা থাকলেও ভান করে আছে। সরজমিনে গেলে দেখা গেছে কাজিরহাট থানা এলাকা হইতে বিভিন্ন নর নারী পুরুষ সকাল থেকে রাত পর্যন্ত তুলাতুলি খেয়া পার হয়ে মাছ ক্রয় করতে যায়। মাছগুলো প্লাস্টিকের ঝুড়িতে রেখে উপরে মাছের ডাকি শূন্য রাখে। দরকষাকষির পর নিচ থেকে মাছ উপরে তোলে ওজনে বিক্রি করে দেয় বলে দেখা গেছে। উল্লেখ্য মা ইলিশ রক্ষায় নদ-নদীতে মাছ ধরার ওপর ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা হয়েছে। ইলিশের প্রজনন নির্বিঘ্ন করতে এই সময়ে যৌথ বাহিনীর মাধ্যমে মাছ ধরা রোধ করাই মৎস্য অধিদপ্তরের মূল উদ্দেশ্য।তবে ইলিশের খনি হিসেবে পরিচিত বরিশালের হিজলা ও মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার ৮২ কিলোমিটার মেঘনা নদী নিয়ন্ত্রণে এবার ড্রোন প্রযুক্তি ব্যবহার করবে প্রশাসন।
মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে,বিশাল মেঘনা নদীতে মাছ ধরা বন্ধ রাখতে নৌ পুলিশ ও হিজলা, মেহেন্দিগঞ্জ দুই উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তার উদ্যোগে ড্রোন উড়িয়ে নজর রাখা হবে। মা ইলিশ নিধনকারীদের ধরতে মেঘনা নদীতে নজরদারির জন্য অন্তত চারটি ড্রোন ব্যবহার করা হবে। ড্রোন যেখানে ইলিশ ধরার তথ্য দেবে, সেখানে দ্রুত স্পিডবোট নিয়ে অভিযান চালানো হবে।