রাসেল কবির//মায়ের এক ফোটা দুধের দাম কাটিয়া গায়ের চাম। পাপশ বানালে ঋণের শোধ হবেনা। এমন দরদী ভাবে কেউ হবে না আমার মা গো। এই আলোচ্য বাক্য অনেক সন্তান মানছে না।বৃদ্ধা মহিলার ২ সন্তান থাকলে পুত্রবধূকে নিয়ে সংসার করছে কিন্তু গর্ভধারনি মায়ের খোঁজ নিচ্ছে না। এমন একটি দৃশ্য এলাকাবাসীর নজরে আসছে। ঘটনাটি ঘটেছে বরিশাল জেলা মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা কাজিরহাট থানা বিদ্যানন্দনপুর মডেল লোকজন দেখাশুনা করছে।সরজমিনে গেলে দেখা গেছে ভাঙ্গাচুরা ঘরে একাই বসে আছে বৃদ্ধ মহিলা সঠিক মত কথা বলতে পারছে না। নাম সোনা বড়ু বয়স ৮০ স্বামী মৃত্যু ফয়জুল ব্যাপারী। বড় সন্তান ৫৫ বছর জামাল বেপারী তিনি পার্শ্ববর্তী মুলাদী উপজেলার বাহাদুরপুর স্ত্রী নিয়ে বসবাস করে । ছোট সন্তান লোকমান বেপারী বয়স ৩৫ তিনি ঢাকা থাকেন স্ত্রী পরিবার নিয়ে। ওই বাড়ির লোকজন জানায় ৭/৮ দিন আগে বড় ছেলের বাড়ি বৃদ্ধ মহিলাকে দিয়ে আসে। পরদিন সকাল ৭ ঘটিকায় বড় ছেলে ও বউ নাসিমা বেগম মিলে বৃদ্ধ মা কে সেই ভাঙ্গাচুরা ঘরে রেখে চলে যায়। জহানারা বেগম জানায়,আমার সংসার পরিচালনা করে ওই বৃদ্ধ মহিলার দেখা শোনার কাজ আমার করতে হয়। রহিমা বেগম জানায়, বুড়া মহিলার সন্তান থাকতে সবকিছু আমাদের করতে হয়। আমরা বুড়ো মহিলার সন্তানের কাছে দিয়ে এসেছি। পরদিন ছেলে ও ছেলে বউ বাড়িতে ফেলে রেখে গেছে। পার্শ্ববর্তী মোহাম্মাদ রাড়ি জানায়, এই গ্রামে বিচার ব্যবস্থা যদি থাকতো এভাবে ফেলে রাখবে সন্তানের সমাজ কিভাবে মেনে নেবে। মোহাম্মদ আমির হোসেন বলে বৃদ্ধ সোনা বড়ুর নানা মৃত আফাজ উদ্দিন সরদার তার নাতনি নানাবাড়ি থাকে। ওই মহিলার ২ সন্তান থাকতেও দেখা শোনার কাজ করতে হয় পার্শ্ববর্তী মহিলাদের। স্থানীয় সুশীল সমাজের লোকজন ২ছেলেদের প্রতি ক্ষুব্ধ হয় বলেন সন্তান মায়ের খোঁজ খবর নিবে না কি কারনে। আমরা গ্রামবাসী মিলে সন্তানদের আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানাচ্ছে। অপরদিকে আরো জানায় ওই বৃদ্ধ মহিলা জীবন মরণ সন্ধিক্ষণে কোন রকম বেঁচে আছে। পাশে নেই সঠিক মত দেখা শোনা করার।এ বিষয়ে আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বৃষ্টি দেওয়া। যাতে ওই বৃদ্ধ মহিলা সুস্থ সবল ভাবে বেঁচে উঠতে পারে।

