রাসেল কবির//তীব্র শীত মৌসুমে নিত্য প্রয়োজনীয় তরকারি শাকসবজির দাম চড়া। এই শীতে বিভিন্ন ধরনের তরকারি এখনো বাজারে দেখা যায়নি। এমন দৃশ্য দেখা গেছে বরিশালের কাজিরহাট থানা কাজিরহাট বাজারে। সরজমিন ঘুরে দেখা গেছে, নিত্য প্রয়োজনীয় তরকারির মধ্যে সিম, টমেটো, ফুলকপি, পাতাকপি, বেগুন, গাজর, শসা, ধনিয়া পাতা, কাঁচকলা, কাঁচামরিচ।বাজার করতে আসা উদয়পুর গ্রামের মোহাম্মদ নয়ন জানায় এই শীতে শাক সবজির দাম কম হওয়ার কথা। এবং শীত মৌসুমী নতুন তরকারি দেখা মিলছে না তবুও চড়া দামে ক্রয় করতে হয়। ১ কেজি টমেটো ৮০ টাকা ১ কেজি সিম ৫০টাকা। তরকারি ক্রয় করতে আসা চরসোনাপুর গ্রামের শাহিন কাজী বলে এই শীতে সকল ধরনের শাকসবজি তরকারি হাটবাজারে ওঠার কথা ৬/৭ রকমের তরকারি ছাড়া কিছুই নেই। সন্তোষপুর গ্রামের সাইফুল ইসলাম হাওলাদার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলে এত দাম দিয়ে তরকারি ক্রয় করা সম্ভব হচ্ছে না অনেকের। এ বিষয়ে কথা হয় তরকারিও শাকসবজি বিক্রেতা আব্দুর রহমান শরীফের সাথে তিনি বলেন এই কাজিরহাট বাজারে দীর্ঘ বছর যাবত ব্যবসা করে আসছি। অনেক লোকজন তরকারি ব্যবসায় এসেছে কিন্তু কয়েক মাস পর অনুষ্ঠানের ঘানি টানে ব্যবসা ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে। এই ব্যবসা করে আমি অনেক লোকসান দিয়েছি।ছোটবেলা থেকে এই ব্যবসায়ী পরিচালনা করি। শীত আগমনে নিত্য প্রয়োজনীয় নতুন তরকারি সম্পর্কে বলেন দাম অনেক ঊর্ধ্বগতি। বেশি দাম দিয়ে ক্রয় করে চড়া দামে গ্রামগঞ্জে বিক্রি করা সম্ভব না। তরকারি পচনশীল অধিকাংশ নষ্ট হয়ে যায়। আমি এই তরকারি ব্যবসা করার সুবাদ যশোর, ঝিনাইদা, বরিশাল, মুলাদী, ঢাকা কাওরান বাজার, গাজীপুর সহ বিভিন্ন জেলা থেকে তরকারি ক্রয় করে কাজিরহাটে এনে বিক্রি করতাম তবু এরপরও লোকসান দিতে হয়। আমার এই বাজারে আরো ২টি তরকারির দোকান আছে আমার। ওই দোকানে লোক দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করতে হয়। তাদের দৈনিক মজুরী ৬০০ টাকা প্রতি দিতে হয়। আব্দুর রহমান শরীফ আরো জানায় কেজিপ্রতি ১০/১২ টাকা লাভে বিক্রি করি। মোকাম থেকে পাইকারি মাল ক্রয় করে যানবহনে আমার গন্তব্য স্থানে পৌঁছাইতে অনেক খরচ পড়ে। ৫ ডিসেম্বর রোজ শুক্রবার কাঁচা বাজার দর ফুলকপি ১ কেজি ৫০ টাকা, মুলা ৩০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, টমেটো ৮০ টাকা, মিষ্টি কুমার ৪০ টাকা, কাঁচামরিচ ৮০ টাকা দরে বিক্রি হয়।

