বিপ্লব সাহা,খুলনা ব্যুরো:
খুলনায় বন্ধকৃত পাটকল শ্রমিকদের ন্যায্য বকেয়া বেতন পাওনা আদয়ের লক্ষ্যে ৬ দফা দাবিতে আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর অর্ধবেলা রাজপথ রেলপথ মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা দিয়ে শ্রমিক নেতারা বলেন দেশের অন্যতম শিল্পাঞ্চল বিভাগীয় শহর খুলনায় বিগত ৯০ দশকের পর থেকে এক এক করে সকল শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করে দেওয়াতে বর্তমানে খুলনা এখন রুগ্ন শহরে পরিণত হয়েছে।
উল্লেখ্য গত ২০২০ সালে একসাথে কোন ঘোষণা ছাড়া খুলনার নয়টি রাষ্ট্রয়াত্ব পাটকল এর সাথে বেশ কিছু বেসরকারি পাটকল ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়।
আর এতে করে হাজার হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে মানবেতর জীবন পার করলেও বঞ্চিত থাকছে তাদের ন্যায্য পাওনা বকেয়া বেতন প্রাপ্য থেকে ।
এ নিয়ে বারবার আন্দোলন সংগ্রাম করলেও টনক নড়ছে না সরকার সহ ব্যক্তি মালিকানাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মালিকদের।
তাই বন্ধ থাকা বেসরকারি পাটকল চালু ও বকেয়া মজুরি পরিশোধ সহ ৬ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে মানববন্ধন অনশন স্মারকলিপি সহ অনেক কর্মসূচি পালনের অংশ হিসেবে আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর অর্ধবেলা রাজপথ রেলপথ যশোর মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা করে খুলনার বেসরকারি পাট সুতা ও বস্ত্র-কাল শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন।
এ সময় শ্রমিক নেতারা বলেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শ্রমিকের পাওনা পরিশোধের আগ পর্যন্ত মিলে থাকা কোনো মালামাল বের হবে না।
কারণ বেতন বঞ্চিত শ্রমিকেরা বড় অসহায় অবস্থার মধ্য দিন পার করছে খেয়ে না খেয়ে অনাহারে পরিবার পরিজন নিয়ে।
অথচ বন্ধকৃত মিল মালিকদের সাথে গোপনে আঁতাত করে শ্রমিকদের মধ্য এক শ্রেণীর কতিপয় অসাধু নামধারী শ্রমিক নেতাদের সহযোগিতায় রাতের আঁধারে মিলের মালামাল বের করে নিয়ে যেতে সক্ষম হচ্ছে।
অথচ মহাসেন জুট মিলের শ্রমিকরা নয় বছর অতিবাহিত হলেও তাদের চূড়ান্ত পাওনা আজও পায়নি শিরোমনি হুগলী বিস্কুট কোম্পানির শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ না করে শ্রমিক নেতা মোস্তাফিজের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে কর্তৃপক্ষ।
সোনালী এজাক্স ও আফিল জুট মিলে শ্রমিকদের একই অবস্থা। অথচ মিল মালিকরা মিল দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা ব্যাংক লোন নিয়ে সেই টাকা অন্য খাতে ব্যয় করে আয়েশে আছে তারা। অথচ শ্রমিকেরা ন্যায্য পাওনা দাবিতে রাজপথে নামতে হচ্ছে শ্রমিকরা ধুকে ধুকে না মরার চেয়ে একেবারেই মরতে চায়। এ সময় বিভিন্ন মিল মালিকের সঙ্গে কিছু শ্রমিক নেতারা আতাত করে চলেছে অভিযোগ তুলে তাদের তীব্র সমালোচনা করেন বক্তারা।
এ সময় বক্তারা আরো বলেন শ্রমিক ঠকানো মালিকদের চিহ্নিত করে অতি দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়।
এ সময় চলতি সপ্তাহের মধ্যে শ্রমিকদের সমস্যা সমাধান না করা হলে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার ফুলবাড়ি গেট জনতা মার্কেট চত্বরে শ্রমিক জনসভা এবং ১৭ সেপ্টেম্বর রবিবার সকাল ছয়টা থেকে বেলা বারোটা পর্যন্ত ফুলবাড়ী গেটে রাজপথ রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেন শ্রমিক নেতারা।