নজরুল ইসলাম, জেলা প্রতিনিধি:
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ভদ্রাবতী উত্তর-দক্ষিণ খাল পুনর্খনন প্রকল্পে দুর্নীতির তদন্ত হলেও প্রতিবেদন পাঠাতে গড়িমসির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রধান প্রকৌশলীর নির্দেশে পাবনা অঞ্চলের তত্তাবধায়ক প্রকৌশলীর দপ্তর থেকে তদন্ত করা হয়। তবে এক সপ্তাহেও তদন্ত প্রতিবেদনটি এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলীর দপ্তরে যায়নি। জানা গেছে, পাবনা অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম তদন্তের দায়িত্ব পেয়ে সরেজমিন কয়েক দফা তাড়াশে এসে অনুসন্ধান করেন। তাঁর দীর্ঘ তদন্তে সিরাজগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী সফিকুল ইসলাম, টেকসই ক্ষুদ্রাকার পানিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের সহকারী প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান এবং উপকারী সহকারী প্রকৌশলী তারেক আজিজসহ হিসাব ও বিল সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে সরকারি অর্থ লোপাটের প্রমাণ মেলে। প্রতিবেদনে বলা হয়, পরিপত্র উপেক্ষা করে পুরো প্রকল্পই এক্সক্যাভেটর দিয়ে যন্ত্রভিত্তিক খাল খনন করা হয়। এছাড়া ভুয়া মাস্টাররোলে মৃত ব্যক্তিদের শ্রমিক দেখিয়ে খনন কাজের বিল দেওয়া হয়। এভাবে ৩৬ লাখ টাকার বেশি আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে। প্রতিবেদনটির কপি দেশশ চ্যানেলের হাতে এসেছে। মাসব্যাপী তদন্ত শেষে গত ১০ সেপ্টেম্বর পাবনা অঞ্চলের তত্ত্বধায়কের কাছে প্রতিবেদন জমা দেন নির্বাহী প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম। সেই প্রতিবেদন গতকাল রোববার পর্যন্ত ঢাকায় প্রধান প্রকৌশলীর দপ্তরে পাঠানো হয়নি।
অভিযোগ উঠেছে, সিরাজগঞ্জ এলজিইডির অভিযুক্ত নির্বাহী প্রকৌশলী সফিকুল ইসলামকে বাঁচাতে প্রতিবেদনটি পাঠাতে কৌশলে বিলম্ব করছেন তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী। তদন্ত কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বলেন, সরেজমিন তদন্তে সিরাজগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী সফিকুল ইসলাম এবং তাঁর সহযোগী সহকারী প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান ও উপসহকারী প্রকৌশলী তারেক আজিজসহ বিল ও হিসাব- সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ মিলিছে। তদন্ত প্রতিবেদন এক সপ্তাহ আগে পাবনা তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর কাছে জমা দিয়েছেন তিনি। এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী শেখ মোহাম্মদ মহসিন বলেন, মন্ত্রীর নির্দেশে ভদ্রাবতী খাল পুনর্খননে অনিয়মের তদন্ত করতে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীকে বলা হয়েছে। প্রতিবেদন এখনও হাতে পায়নি। পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।