মোঃ মশিউর রহমান সুমন।
মেহেন্দিগঞ্জ, (বরিশাল) প্রতিনিধিঃ
বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জে হঠাৎ সবজির দামের তাপে পুড়ছে ক্রেতা। কয়েকটি সবজির দাম হয়ে গেছে দ্বিগুণ। অনেক কাঁচা তরকারির কেজিতে বেড়েছে ২০ থেকে ৫০টাকা।এর মধ্যে বড় গোল বেগুন কেনাবেচা হচ্ছে অস্বাভাবিক দামে, এক কেজি কিনতে গুনতে হচ্ছে ১৩০-১৪০ টাকা। সবজির পাশাপাশি আবারও চড়েছে ডিমের বাজার। দুই দিনের ব্যবধানে ডজন উঠেছে সর্বোচ্চ ১৬০ টাকায়।
বিক্রেতারা বলছেন, সম্পতি টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে কৃষক সবজি তুলতে পারেনি।ফলে ক্ষেতে নষ্ট হয়ে গেছে অনেক সবজি।এ কারনে মাঠ পর্যায় থেকে শহরে সবজির সরবরাহ কমে গেছে।তাতে চাহিদার চেয়ে সবজির জোগানে দেখা দিয়েছে ঘাটতি।
এদিকে ক্রেতারা বলছেন, একেকবার একেক ছুতায় জিনিসপত্রের দাম বাড়াচ্ছে ব্যবসায়ীরা। সরকারের নিয়ন্ত্রণ নেই বলে ব্যবসায়ীরা যে যার মতো করে দাম নিচ্ছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ভোক্তারা।
আজ(১২অক্টোবর) মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে শুধু পেপে আর আলু ছাড়া ৭০ টাকার কমে কোন সবজি পাওয়া যায়নি।তিন -চারদিন আগে মেহেন্দিগঞ্জে ঢ্যাঁড়সের কেজি ৪০ টাকা ও গোল বেগুনের কেজি ১০০ টাকা বিক্রি করা হয়েছে। দ্বিগুণ দাম বেড়ে বাজারে এখন সবজি দুটি বিক্রি হচ্ছে যথাক্রমে ৭০ থেকে ৮০টাকা ও ১৩০থেকে ১৪০টাকা দরে।এ ছাড়াও লম্বা বেগুনের দাম বেড়ে হয়েছে ১২০-১৩০ টাকা।
সাম্প্রতিক সময়ে আলুর দর নিয়ে হয়েছে বেশ হইচই। দামও বেঁধে দেয় সরকার। তাতেও সুফল মেলেনি।গত ১৪ সেপ্টেম্বর বানিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে খুরচা পর্যায়ে প্রতি কেজি আলুর দর ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা নির্ধারন করা হলেও বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা দরে।
এদিকে প্রতি ডজন ডিমের দাম সরকার ১৪৪ টাকা বেঁধে দিলেও দুদফা বেড়ে ১৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে আমিষজাতীয় খাদ্যপন্যটি। কোথাও কোথাও বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়।