রাসেল কবির//আড়িয়াল খা নদীর ছোবলে যাত্রী পারাপার খেয়াঘাট । তীব্র নদীর স্রোতে ও ঢেউ উঠে নদীর পাড় ভেঙে যাচ্ছে বরিশালের শায়েস্তাবাদের রামকাঠি খেয়াঘাট এবং ফসলিয় জমি ও বসত ভিটে। শীত মৌসুমী নদী পার ভাঙ্গন রক্ষা করতে এখনই সময় বলে পদক্ষেপ নেওয়া অতি জরুরী বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে। জানাগেছে, আড়িয়াল খা নদীর পানি বর্ষা মৌসুমে স্রোতের তীব্রতায় রাক্ষসের ছোবলে পরিণত হয়ে। আবাদি অনাবাদি জমি, গাছপালা, ভিটেবাড়ি ও সহায় সম্বল টুকু । শায়েস্তাবাদ ইউনিয়নের চুরামন এলাকার নদীর পাড়ের বাসিন্দাদের। চুরামন বাজার হতে আধা কি:মি:দূরত্বে রামকাঠি খেয়াঘাট। এই খোয়াঘাটে অবস্থিত অর্ধশত ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান দোকান। ব্যবসায়ীরা বলেন গত বছর গভমেন্ট থেকে নদী ভাঙ্গন রক্ষা করতে বালু ভর্তি জিও বস্তা ফেলে ভাঙ্গন কিছুটা রক্ষা করেছে। এ বছর শীত মৌসুমে এখনই বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে ভাঙ্গন থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য দাবি জানিয়েছে। ট্রলার যাত্রীবাহী মাঝির সাথে কথা হলে তিনি বলেন এই নদীতে অনেক স্রোত। চরমোনাই নদীর শাখা মিরগঞ্জের খেয়াঘাট নদীর সাথে মিলত। নদীর দুই পাশ ভেঙ্গে যাচ্ছে ফলে পরিবাররা সর্বহারা হয়ে যাচ্ছে। যাত্রীবাহী মোটর চালক ইমরান হোসেন জানায়, যাত্রী নিয়ে প্রতিদিন খেয়াঘাটে আসতে হয়।
গত বছর বালুর বস্তা ফেলে ভাঙ্গন রক্ষা করলেও বস্তা আরো বেশি প্রয়োজন ছিল বলে মন্তব্য করেন। রামকাঠি খেয়াঘাট সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে বালু ভর্তি বস্তা নদীর পাড়ে। অধিকাংশ বস্তায় বালু নেই নদী গর্বে বিলীন ও বালু ভর্তি বস্তা এলোমেলো ভাবে আছে। নদী পাড়ের স্থানীয়রা জানায়, বালুভর্তি বস্তা সারি বদ্ধভাবে দেওয়া হয়নি । এছাড়া বস্তায় বালু পরিমাণে কম দেওয়া অথবা বস্তা বহু পুরাতন এবং ছিড়েফাটা হওয়ার কারনেই বালু পানির স্রোতে চলে গেছে।খেয়াঘাট ইজারাদার মো: রিয়াজ মৃধার সাথে কথা হলে তিনি বলেন। যাত্রী পারাপারে সুবিধার্থে কাঠের সিঢ়ি ও ইট বালু পাকা সিঢ়ি বানিয়ে দেওয়া হয়েছে। নদী ভাঙ্গন রক্ষা করতে পারলে নদীর পাড়ের বাসিন্দা পরিবারদের জীবন সুফল বয়ে আনবে। শায়েস্তাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফুল হক মুন্নার সাথে কথা হলে তিনি বলেন এই ইউনিয়ন পরিষদের মানচিত্র চারপাশে ঘেরা। নদী ভাঙ্গনে অনেক পরিবার নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। প্রতি বছর সরকারি বরাদ্দে নদী ভাঙ্গন রক্ষা করতে বরাদ্দকৃত বাজেট ব্যয় করে বালু ভর্তি বস্তা ফেলে রক্ষা করা হয়।

