জাহাঙ্গীর আলম, ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধি:
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত আলীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে মিথ্যা ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে স্থানীয় পৌর পাঠাগারে এম এ ওয়াদুদ হক হুলা মিয়া মিলনায়তনে এ সম্মেলন করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলন লিখিত বক্তব্যে লিয়াকত আলী বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আমার পরিবার দলটির সঙ্গে আছে। এ ছাড়া আমি গত ২০২২ সাল থেকে কোটচাঁদপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছি। এরমধ্যে আমার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক মামলাও হয়েছে। গত ৫ আগষ্ট ফ্যাসিষ্ট সরকার পতনের পর উপজেলায় বিছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে আমার নিজ হতে গড়া ফুলবাড়ি মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির কুশনা বাওড়ে দুই বার নৌকা ও জাল পুড়িয়ে দিয়েছেন দূর্বৃত্তরা। লুট করেছেন বাওড়ের মাছ। ওই ঘটনায় মৎস্যজীবিরা কোটচাঁদপুর মডেল থানায় পৃথক দুইটি মামলাও করেছেন। যারা মাছ লুট করেছে তারা দল থেকে বহিষ্কার হয়েছে এরপরও ষড়যন্ত্রকারীরা ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে প্রপাকান্ড ছড়িয়ে বেড়াচ্ছেন। শুধু তাই নয় বলুহর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও জেলা বিএনপির সদস্য আশরাফ আলী উপজেলা বিএনপির কমিটি গঠনে সময় আমার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যাওয়ার পর থেকে আমাকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি সহ তার ফেসবুক আইডি তে আমার নামে কুচ্ছা রটাতে ব্যস্ত আছেন তিনি। আমি গ্রুপিংয়ের রাজনীতির শিকার হচ্ছি। এ ছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, পত্রিকা ও অনলাইন পোর্টালে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করিয়েছেন তারা। অন্যদিকে আমার প্রতিবেশী খায়রুল মাস্টারের সঙ্গে আমার দীর্ঘদিনের জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় ঝিনাইদহ আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। গত ৫ তারিখে যারা তাকে মারপিট করেছে তাদের সাথে তার ব্যক্তিগত শত্রুতা আছে। সে সরকারি চাকরি করে নিজেকে বিএনপির নেতা দাবি করছে। আবার বিগত সরকারের আমলে সে পৌর কাউন্সিলর ও সেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতারা পিএস এর দায়িত্ব পালন করতেন সেই কারণে তিনি হামলার শিকার হয়েছে সেটা নিয়েও আমার বিরুদ্ধে স্থানীয় ও জেলা বিএনপির সভাপতি সম্পাদক বরাবর আবেদন করেছেন।
যে সব ঘটনার সঙ্গে আদৌও আমার কোন সম্পৃক্ততা নাই। তারপরও ষড়যন্ত্রকারীরা আমাকেও সমাজের কাছে, আমার প্রিয় সংগঠন বিএনপির কাছে হেও করতে একের পর এক প্রপাকান্ড ছড়িয়ে বেড়াচ্ছেন। আমি এ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সাথে সাথে বিষয়টি তদন্ত পূর্বক ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি। সংবাদ সন্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর ফারুক হোসেন খোকন, জেলা বিএনপির সদস্য ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান একরামুল হক, পৌর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর কামাল হোসেন, উপজেলা যুব দলের নেতা অমেদুল ইসলাম প্রমুখ।