টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধিঃ
টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার দেউলিয়াবাড়ি ইউনিয়নের নুচিয়া মামুদপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান, যে কোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। ভবনের দেয়ালে দেখা দিয়েছে ফাটল, ছাদের পলেস্তার অনেক অংশ খসে পড়েছে, এমনকি বর্ষাকালে ছাদ দিয়ে পানি চুইয়ে পড়ে শ্রেনী কক্ষে। অভিবাবকরা ভয়ে সন্তানদের স্কুলে পাঠায় না।
জানা গেছে, ১৯৮৪ সালে ৪০ শতাংশ ভুমির উপর বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হলেও ১৯৯৭ সালে একতলা ভবন নির্মাণ হয়। ভবনটি দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় এখন চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। তবুও নতুন ভবনের অভাবে বাধ্য হয়েই এখানেই ক্লাস নিচ্ছেন শিক্ষকরা, আর শিক্ষার্থীরাও আতঙ্কের মধ্যেই শিক্ষাজীবন পার করছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের ক্লাস রুমগুলের ছাদের বিভিন্ন অংশে পলেস্তার ভেঙে ভেঙে পড়ছে। বিদ্যালেয়র একটি ক্লাস রুমের অবের্ধক অংশ দেবে গেছে। ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীরা ক্লাস করছেন।
শিক্ষার্থীরা জানায়, ক্লাস করার সময় সবসময় ভয় কাজ করে কখন যেন কিছু একটা ভেঙে পড়ে। কয়েকবার পলেস্তার খসে পড়ায় কেউ কেউ সামান্য আহতও হয়েছে। তারা দ্রæত নতুন ভবন নির্মাণ দাবি জানিয়েছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শিরিন খাতুন বলেন,বিদ্যালয়ের ভবনের ছাদে বিভিন্ন জায়গায় পলেস্তার খসে খসে পড়ছে। ভবনটি এমন ঝুঁকিপুর্ন ঝড় বৃষ্টির সাজ করলেই অভিবাবকরা তাদের সন্তানদের বিদ্যালয় থেকে নিয়ে যায়। যেকোন সময় ভেঙে পড়তে পাড়ে বিদ্যালয়ে ভবন। তিনি বলেন বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানালেও এখন পর্যন্ত কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও অভিভাবকরা দ্রæত ঝুঁকিপুর্ণ ভবনটি সংস্কার বা পুনঃনির্মাণের দাবি জানিয়ে বলেছেন, “শিক্ষার্থীদের জীবনের নিরাপত্তা আগে নিশ্চিত করতে হবে।” তা না হলে এ বিদ্যালয়ে তাদের সন্তানদের পড়তে দিয়ে আতঙ্কে থাকতে হয়।
এ বিষয়ে ঘাটাইল উপজেলা শিক্ষা অফিসার রাফিউল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, বিদ্যালয়টি এ উপজেলার ঝুঁকিপুর্ণের মধ্যে এক নম্বর তালিকায় রয়েছে। কেন এখানে নতুন ভবন হচ্ছেনা তিনি জানেন না। তবে তিনি পুনরায় তালিকা দিবে বলে আশ্বাস দেন।