আনারুল ইসলাম, কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্ত:বিভাগ বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (৭ অক্টোবর ), জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ব্যবস্থাপনা বিভাগে ” নবীনের উদ্যমে গড়ি প্রশান্তির অবণী” মটোকে সামনে রেখে ট্যাব ফরমেটে বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ টি বিভাগ থেকে ১৬ দল অংশগ্রহণ করে। বিতর্কের অঙ্গনে শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের লড়াই এ সরকারী দল হিসেবে অংশগ্রহণ করেছে ব্যবস্থাপনা বিভাগের দল সব্যসাচী এবং বিরোধীদল হিসেবে অংশগ্রহণ করেছে আইন ও বিচার বিভাগের দল লিগ্যাল মাইটস যেখানে টিম সব্যসাচী চ্যম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে এবং টিম লিগ্যাল মাইটস রানার-আপ হয়েছে। এই সংসদ মনে করে, বর্তমান পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগের আইনগত ক্ষমতা কেড়ে নিবে মোশন কে সামনে রেখে প্রতিযোগিতাটি সম্পন্ন হয়।
আতিয়া শর্মিলা আকি’র সঞ্চালনায় প্রতিযোগিতাটিতে উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সঞ্জয় কুমার মুখার্জী, ডিবেটিং সোসাইটির সাবেক সভাপতি ড. শেখ সুজন আলী এবং রফিকুল ইসলাম ইমু সহ ডিবেটিং সোসাইটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেত্রবৃন্দ। প্রক্টর সঞ্জয় কুমার মুখার্জী বলেন, বিতর্ক হলো তর্কের খেলা যেখানে যুক্তি ও বাধানুবাদের মাধ্যমে নিজের অবস্থান কে সত্য প্রমাণ করতে হয়। নবীন বিতার্কিকদের উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন যে, বিতার্কিকদেরকে প্রো- এক্টিভ চিন্তা করতে হবে। বিতর্কে ক্ষুরদার যুক্তি দিতে হবে শুধু যুক্তি দিলেই হবেনা, যুক্তি খন্ডনের যোগ্যতা রাখতে হবে। বিতর্কের মানে যদি কোন সমস্যা বা ঘাটতি থাকে তাহলে আমাদেরকে এখানে কাজ করতে হবে। বিতর্ক মানুষকে পরিশালীত করে, চিন্তার গভীরতা বৃদ্ধি করে।
ডিবেটিং সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক রুমন হাসান বলেন, বিতর্কের প্রতি নবীন শিক্ষার্থীদের আগ্রহী করে তোলা, জ্ঞান বৃদ্ধি, নেতৃত্ব এবং যোগাযোগ দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমরা আন্ত:বিভাগ বিতর্ক প্রতিযোগিতাটি আয়োজন করে থাকি। গতবছরের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এ বছর অসাম্জস্যতাগুলো কাঠিয়ে উঠতে পেরে আমরা আনন্দিত।
ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি মাহমুদুল হাসান রাফিক বলেন, প্রতিবছরের মতো এ বছরও বিভিন্ন সিমাবদ্ধতা থাকা সত্বেও আমরা আন্ত:বিভাগ প্রতিযোগিতাটি করতে পেরে আনন্দিত। এ ধারা অব্যাহত রাখতে চাই এবং আমাদের সোসাইটির সদস্যদের বিতর্কের গুণগত মান উন্নয়ন করতে চাই। বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যে ধরনের সুযোগ সুবিধা দেয় আমরা চাই সে ধরনের সুযোগ সুবিধা দিতে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা পেলে বিতর্কের গুণগত মান উন্নয়ন সহ সকল কার্যক্রম সুন্দর ভাবে করতে পারবো।
প্রতিযোগিতা শেষে, চ্যম্পিয়ন দল সব্যসাচীর হাতে চ্যম্পিয়ন ট্রফি এবং রানার -আপ দলকে রানার-আপ ট্রফি তুলে দেওয়া হয়। এছাড়াও চ্যম্পিয়ন এবং রানার-আপ দলের প্রত্যেক সদস্যকে মেডেন পড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।