বিপ্লব সাহা,খুলনা ব্যুরো :
বাজারের সকল ধরনের দ্রব্যমূল্য তো ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে সাথে পিঁয়াজের ঝাঁঝালো ঝাঝে জ্বলছে খুলনার সাধারণ মানুষ।
তারপর আবার আমদানির ক্ষেত্রে ৪০ শতাংশ আরোপের ধাক্কায় মাত্র এক সপ্তাহ আগে ভারত থেকে পিয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দেওয়ার
সাথে সাথে দেশের সকল ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ব্যবসায়ীদের মজুদকৃত পিঁয়াজ কেজি প্রতি ১৫ থেকে ২০ টাকা বাড়িয়ে দিয়েও পাশাপাশি বাজারে পিয়াজের কৃত্রিম সংকট দেখাচ্ছে।
আজ সকালে খুলনার সকল বাজার গুলোতে সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে খুচরা ব্যবসায়ীরা ৬৫ থেকে ৭৫ টাকা দরে ইন্ডিয়ান পিয়াজ বিক্রি করছে।
যা গত এক সপ্তাহ আগেও ৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
হঠাৎ দাম বাড়িয়ে বিক্রির ব্যাপারে খুলনা নগরীর শেখপাড়া বাজারের পিঁয়াজ আদা রসুন শুকনো মরিচ জিরা হলুদ সহ সব ধরনের একজন মসলা বিক্রেতার নিকট বিষয়টি খোলসাভাবে জানতে চাইলে তিনি দেশ চ্যানেলেকে জানিয়েছেন গত ৪/৫ দিন আগে ভারতের সাথে চুক্তির কোন গড় মিলের কারণে দেশের ব্যবসায়ীদের সাথে বনিবনা না হওয়ার অজুহাতে হঠাৎ করে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে আমাদের দেশে পেঁয়াজ রপ্তানি করবে না বলে জানানোর সাথে সাথেই শহরের আড়ৎদার মজুদ ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজের কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে ১৫ থেকে ২০ টাকা কেজিতে বাড়িয়ে দিয়েছে।
এবং পিয়াজের পাইকারি আড়তে গিয়ে আমরা চাহিদা মতন মাল পাচ্ছিনা।
এই সুযোগে আড়ৎ মালিকরা তাদের ভালো মানের পেঁয়াজগুলো সরিয়ে রেখে মন্দপ্রকিতির মালগুলো বাজারে সরবরাহ করার জন্য মেতে উঠেছে।
বাজারের ভুক্তভোগী ক্রেতারা বলছে সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রীর তথ্যসূত্রে জানা গেছে দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণে পিয়াজ আমদানি রয়েছে।
যা এক দুই মাস পার্শ্ববর্তী কোন দেশ থেকে পিয়াজ আমদানি না করা হয় সেক্ষেত্রেও আমাদের দেশের ব্যবসায়ীদের যদি একটু সৎ মনোভাব থাকে তাহলে তারা সাবেক দামেই বিক্রি করতে পারবে।
কিন্তুু ব্যবসায়ীরা কোন অজুহাত পেলেই তাকে কুক্ষিগত করে সাথে সাথেই নিজেদের খেয়ালখুশি মতন বাজার নিয়ন্ত্রণ করে ব্যবসা চালিয়ে যায়।
আর এ বিষয়ে কোনো নিয়ন্ত্রণ সংস্থা এগিয়ে এসে এদের বিরুদ্ধে তৎপরতা চালিয়ে ব্যবস্থা না নেওয়ার কারণে। সুযোগ বুঝে তারা সকল পন্যর মূল্য আকাশ ঠেকিয়ে ভোক্তাদের উপর স্টিম রোলার চালাতে হেদায়েত জ্ঞান হারিয়ে ফ্যালে।
এতে আয়ের উপর ব্যায় নির্ভর করে নাকানি চুবানি খেতে হয় আমাদের।
এদিকে গত ২১ আগস্ট সোমবার দেশের বাণিজ্যমন্ত্রী ব্যবসায়ীদের জানিয়েছেন দেশের সাধারণ ভোক্তাদের কথা বিবেচনা করে ও বাজার স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে দেশের বড় বড় এলসি ব্যবসায়ীরা সুবিধামতন যে কোন দেশ থেকে পেয়াজ আমদানি করতে পারবে।
এদিকে খুলনার স্থানীয় পাইকারি ব্যবসায়ীরা দেশ চ্যানেলেকে জানিয়েছে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ও কৃষকদের মাঝে পেঁয়াজের সঠিক মূল্য বনিবনা না হওয়ার কারণে দেশটির কৃষক ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সমন্বয়ে পেঁয়াজ বিক্রি বন্দের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
আর তারই প্রভাবে সেখান থেকে বাংলাদেশে পিয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে সেখানকার আমদানি রপ্তানি ব্যবসায়ীরা।
যারকারনে আমরা এলসি ব্যবসায়ীরা পড়েছি বিপাকে।
পাশাপাশি ডলারের দাম প্রতিনিয়ত ওঠানামা করার কারণে অন্য কোন দেশ থেকে যেকোনো ধরনের পচনশীল পণ্য আমদানি করতেও সাহস পাচ্ছিনা।
তবে এ সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী থাকবে বলে মনে হয় না অচিরেই সমস্যার সমাধান হবে কারণ বিষয়টি পার্শ্ববর্তী দেশের অভ্যন্তরীণ।
তারাও তড়িৎ সিদ্ধান্ত নিচ্ছে কিভাবে এর সমাধান করে অতি দ্রুত আমদানি রপ্তানি ব্যাবসায় ফিরে আসা যায়।