মিলন হোসেন, বগুড়া জেলা প্রতিনিধি:
বগুড়া কারাগারে বন্দি ধারণক্ষমতা ৭২০ জন অথচ বর্তমানে প্রায় তিনগুণ বন্দি রয়েছেন এই কারাগারে। তীব্র গরমে বন্দিদের এখন হাঁসফাঁস অবস্থা। সেলগুলোতে গাদাগাদি করে থাকতে হচ্ছে তাদের।
বগুড়া কারাগারের সুপার আনোয়ার হোসেন বলেন, এখন পর্যন্ত যে অবস্থা তাতে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাচ্ছে। আগামীতে যদি আরও বেশি পরিমাণ বন্দি আসে তাহলে বিকল্প ব্যবস্থা করতে হবে।
তবে, বিকল্প ব্যবস্থাটা কী ধরনের জানতে চাইলে সুপার বলেন, আমরা প্রত্যাহিক রুটিনে আসামি অন্য কারাগারে অদল-বদল করি। এভাবেই আসামি অন্য স্থানে পাঠানো যাবে। বর্তমানে বগুড়া কারাগারে পুরুষ ও নারী মিলিয়ে ২০৫০ জন কয়েদি ও হাজতি আছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বর্তমানে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার হেনাসহ বিএনপি, জামায়াত ও কোটা আন্দোলনকারী মিলিয়ে শতাধিক লোককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। দৈনিক গড়ে ২০-২৫ জন ‘রাজনৈতিক’ বন্দি গ্রেফতার হয়ে কারাগারে যাচ্ছেন। বগুড়া কারাগার সূত্র জানায়, শহরের জলেশ্বরীতলা এলাকায় করতোয়া নদীর তীরে ১৮৮৩ সালে জেলা কারাগার নির্মাণ করা হয়। ধারণক্ষমতা ৭২০ জন। এর মধ্যে নারী ২০ জন। কারা হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা ৪০টি। সেল ২০টি। পুরুষ ওয়ার্ড ১৯টি।
প্রতিবেলায় হাজতির জন্য ৮৭ গ্রাম আটা ও ২৪৭ গ্রাম চাল এবং কয়েদির জন্য ১১৬ গ্রাম আটা এবং ২৯১ গ্রাম চাল বরাদ্দ। এছাড়া থাকে পরিমাণ মতো অন্যান্য খাবার।
এক হাজার ৩২০ বর্গফুটের প্রতিটি ওয়ার্ডে রাখা যায় ১০০ জনকে।