মশিউর মিলন, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কালিশুরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও কালিশুরি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. নেছার উদ্দিন সিকদারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজীর অভিযোগ এনে আদালতে মামলা করেন আল মামুন নামে অবসরপ্রাপ্ত এক সেনা সদস্য। নেছার উদ্দিন উপজেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি।
সোমবার (১৯ আগস্ট) কালিশুরি ইউপি চেয়ারম্যান ও কালিশুরি কলেজের অধ্যক্ষ নেছার উদ্দিনের বিচারের দাবিতে কালিশুরী বাজারে মানববন্ধন করেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
জানা গেছে, উপজেলা প্রশাসন ২০২২ সালে টেস্ট রিলিফ (টিআর) প্রকল্পের অর্থায়নে উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা স্থাপনের উদ্দ্যোগ নেয়। কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান নেছার উদ্দিন দলীয় প্রভাব বিস্তার করে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বাসিন্দাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা তুলে তা আত্মসাৎ করেন।
মামলার বাদী আল মামুন মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, ওই বছর ২৫ মে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের নামে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বাসিন্দারে কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা চাঁদা তোলে ইউপি চেয়ারম্যান। এমনকি নেছার উদ্দিন সিকদার তার কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা চাঁদা নিয়ে যায়। রবিবার (১৮ আগস্ট) দায়েরকৃত এই মামলায় একমাত্র আসামি করা হয়েছে ইউপি চেয়ারম্যান নেছার উদ্দিন সিকদারকে ও সাক্ষী হিসাবে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বাসিন্দা রাখা হয়েছে ২১ জন।
এ বিষয়ে কালিশুরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নেছার উদ্দিন সিকদারের মুঠোফোনে ফোন দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর থেকে পলাতক অবস্থায় রয়েছে ইউপি চেয়ারম্যান নেছার উদ্দিন সিকদার।
এবিষয়ে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শোনিত কুমার গায়েন বলেন, শুনেছি তার বিরুদ্ধে কোর্টে মামলা হয়েছে। এজাহার থানায় আসলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।