আয়নাল হক রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
রৌমরী উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের সায়দাবাদ লালকুড়া খেয়াঘাট জিঞ্জিরাম নদীর উপর স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি এসব অঞ্চলে যার ফলে ব্রীজ না থকায় চরম দুর্ভোগে পরেছে প্রায় ২০ হাজার মানুষ। ইতিমধ্যে যাদুরচর ইউপি চেয়ারম্যান সরবেশ আলীর উদ্যোগে বিপ্লব হাসান পলাশ সাবেক এমপি ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার টিআর প্রকল্পের বরাদ্দের মোট ৯ লাখ টাকার খরচে ২৫০ ফুট লম্বা কাঠের সাঁকো তৈরীতে যাতায়াতে সুযোগ করে দিয়েছেন ৫ গ্রামের মানুষের। একমাত্র ভরসা কাঠের সাঁকোটি উদ্বোধন করলেন সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজিজুর রহমান। এ সাঁকোর উপর দিয়ে বিক্রিবিল, দুবলাবাড়ী, বকবান্দা নামা পাড়া, বকবান্দা, খেওয়ারচরের ৫টি গ্রামের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা। একটি ব্রীজের জন্য এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে বহু বার এমপি মন্ত্রীর কাছে আবেদন নিবেদন করেও প্রতিকারের ছোয়াও পায়নি বলেও জানান এলাকাবাসী। শত কষ্ঠের মধ্যদিয়েও রৌমারী উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজিজুর রহমান প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে জিঞ্জিরাম নদীর উপর এই সাঁকো উদ্বোধন করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সরবেশ আলী, মতিয়ার রহমান মতি সভাপতি যাদুরচর ইউনিয়ন বিএনপি, কারী আশরাফুল ইসলাম সমাজ সেবক, অধ্যক্ষ আমিনুল ইসলাম, ইউপিসদস্যদের মধ্যে রবিউল ইসলাম, হায়দার আলী, নজরুল ইসলাম, হযরত আলী, সাবেক এমপির প্রতিনিধি আবুল কালাম বাবুল, জহির উদ্দিন সমাজ সেবক, মরতুজ আলী সমাজ সেবক, তালেব ও আব্দুস সবুরসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ ও গ্রামের সকল শ্রেণী পেশার মানুষ।
স্থানীয় লোকজন জানান, বহুকাল থেকে এ দুটি ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করে আসছি। প্রতি বছর এ নদীতে সরকারি ভাবে ঘাট, নিলাম ডাকে নৌকা দিয়ে যাতায়াত করে থাকি। এতে স্কুল পড় –য়া কমলমতি শিশুসহ স্কুল ও কলেজ পড়–য়া ছাত্র/ছাত্রী ব্যবসায়ী ও চাকুরিজীবিদের যাতায়াতে দুভোর্গ পোহাতে হয়। অপরদিকে ফসলাদি বাজারে নিয়ে কৃয়বিক্রয় করা যেতো না। আমরা বারবার এমপি মন্ত্রীদের কাছে একটি ব্রীজের জন্য আবেদন করেছি। কোন সারা পাইনি। শুধু আশ্বাসে বানি দিয়ে আশ্বস্থ করে ভোট নিয়ে উধাও হয়েছে। তবে প্রত্যন্ত এ অঞ্চলের মানুষের সরকারের কাছে দাবী, এ নদীর উপর দ্রুত একটি ব্রীজ নির্মান করে চলাচলের উপযোগী করে দেওয়ার দাবী।