বিপ্লব সাহা খুলনা ব্যুরো
সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে গতকাল বুধবার সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার প্রতি ৩৯ টাকা কমিয়ে দর নির্ধারণ করলেও সুবিধার পরিবর্তে তারল্য সংকটে খুলনার ভোক্তারা অহরহ মিলছে না এলপিজি গ্যাসের সিলিন্ডার সরকার দাম কমিয়ে দেওয়ার কারণেই এই অসুবিধা সম্মুখীন হতে হচ্ছে নগরীর কোথাও নতুন দাম তো দূরের কথা পুরাতন দামেও মিলছে না সিলিন্ডার দাম কমানোর পর থেকে সুবিধা তো দূরের কথা খামাখা অসুবিধার মধ্যে পড়েছি আমরা। অথচ মন্ত্রণালয় থেকে কোন কিছুর দাম বৃদ্ধি করার আভাস পেলেই ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে মুহূর্তের মধ্যেই দাম বাড়িয়ে দেয় পণ্যের অথচ মূল্য কমানোর ঘোষণা দিলে ঘটনা ঘটে তার বিপরীত। সবকিছু মিলে ভোক্তারা পিষ্ট হচ্ছে যাতা কলের মধ্যে। সকল দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতির মধ্যেও যখন সরকার সাধারণ মানুষের কথা বিবেচনায় রেখে
ভোক্তাপর্যায়ে বেসরকারি খাতের তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৩৯ টাকা কমিয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। ঠিক সেই মুহূর্তে পায়তারা শুরু করেছে মজুদ ব্যবসায়ীরা। সূত্র থেকে জানা গেছে বর্তমানে দাম দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৬৪ টাকা, যা আগে ছিল ১ হাজার ৪০৩ টাকা।
গতকাল বুধবার বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ নতুন এ দাম ঘোষণা করেন। আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে নতুন দর কার্যকর হবে বলে জানালেও থুরায় কেয়ার করছে না ব্যবসায়ীরা। বিইআরসির নতুন দাম অনুযায়ী, বেসরকারি এলপিজির মূল্য সংযোজন করসহ (মূসক/ভ্যাট) দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি কেজি ১১৬ টাকা ৯৪ পয়সা, যা গত মাসে ছিল ১১৯ টাকা ২৪ পয়সা। অর্থাৎ, এ মাসে দাম কেজিতে কমেছে ২ টাকা ৩০ পয়সা। এই হিসাবে বিভিন্ন আকারের এলপিজি সিলিন্ডারের দাম নির্ধারিত হবে। বিইআরসি প্রতি মাসেই এলপিজির দাম নির্ধারণ করে। তবে বাজারে নির্ধারিত দামে এলপিজি বিক্রি না হওয়ার অভিযোগ বরাবরই করে আসছেন ভোক্তারা। সরকারি কোম্পানির সরবরাহ করা এলপিজির সাড়ে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৮২৫ টাকা অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। আর গাড়িতে ব্যবহৃত এলপিজির (অটো গ্যাস) নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি লিটার ৬৪ টাকা ৩০ পয়সা, যা আগে ছিল ৬৫ টাকা ৫৭ পয়সা। প্রসঙ্গত, বিউটেন ও প্রোপেনের মিশ্রণে এলপিজি তৈরি হয়। এই দুই উপাদানের দাম প্রতি মাসে প্রকাশ করে সৌদি আরামকো কোম্পানি। এটি সৌদি কার্গো মূল্য (সিপি) নামে পরিচিত। এই সৌদি সিপিকে ভিত্তিমূল্য ধরে দেশে এলপিজির দাম সমন্বয় করে বিইআরসি। আমদানিকারক কোম্পানির চালান (ইনভয়েস) মূল্য থেকে গড় করে পুরো মাসের জন্য ডলারের দাম হিসাব করে বিইআরসি। ২০২১ সালের এপ্রিল থেকে এলপিজির দাম নির্ধারণ করে আসছে বিইআরসি।