জাহাঙ্গীর আলম, ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধি:
“প্রতিশোধ আরো ভয়ংকর হবে” স্রোতের বিপরীতে সাঁতার কাটার অভ্যাস আমাদের বহু আগে থেকে”। হত্যা মামলার আসামীর ছেলের ফেসবুকের আইডি থেকে মামলার শুনানির দিনে এমন স্ট্যাটার্স দেয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় চরম ক্ষতির আশংকায় দিন কাটছে মামলার বাদী ও তার পরিবারের।
এদিকে হুমকীর ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে থানায় পাল্টা জিডি করাসহ শনিবার হত্যা মামলার আসামীরা সংবাদ সম্মেলন-এর মধ্যেমে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার বৃথা চেষ্টা চালিয়েছেন বলে প্রশাসনসহ এলাকাবাসী মনে করছেন ।
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার কুশনা ইউনিয়নের নৌকা প্রতিকের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান প্রতিবেদকের কাছে অভিযোগ করে বলেন, আমার পিতা মৃত জোনাব আলী মাষ্টার ২০১৪ সালে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন। এ হত্যা মামলার বাদি আমি নিজেই।
তিনি আরও বলেন, ওই মামলার শুনানির দিন ধার্য্য ছিল গত ৬ মার্চ ২০২৪ তারিখে। ওই দিনে বাদী পক্ষের শুনানী শেষ হলে আসামী পক্ষের শুনানির জন্য আগামী ২২ এপ্রিল সময় নির্দ্ধারণ করেন আদালত। ওই দিনই জামিনে থাকা আসামী কুশনা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সেক্রেটারী রবিউল ইসলামের ছেলে শাহারিয়া হোসেন রাকিব (২২) তার ফেসবুক আইডিতে আমাকে উদ্দেশ্য করে পোষ্টে লেখেন যে “প্রতিশোধ আরো ভয়ংকর হবে ; স্রোতের বিপরীতে সাঁতার কাটার অভ্যাস আমাদের বহু আগে থেকে”। এ ধরণের পোষ্ট দেয়ার পাশাপাশি আসামীরা আমাকে মামলা থেকে সরে যেতে বিভিন্ন ধরণের হুমকী ধামকী অব্যাহত রেখেছে। পিতার হত্যার বিচার চাইতে গিয়ে ওই সকল সন্ত্রাসী দ্বারা তিনিসহ তার পরিবার বড় ধরণের ক্ষতির শিকার হতে পারেন বলে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান আশংকা করছেন। যে কারণে বিষয়টি নিয়ে তিনি স্থানীয় থানায় জিডি করেছেন। এ হুমকীর ঘটনা নিয়ে ইতি মধ্যেই কয়েকটি দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হয়। খোঁজ নিয়ে জানা যায় উক্ত হত্যা মামলায় মোট ১৩ জন আসামীর মধ্যে অন্যতম আসামী কুশনা ইউনিয়ন আওয়ামীগের সাধারণ সম্পাদ মোঃ রবিউল ইসলাম, এলাংগী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ হুমায়ন কবীর লতা, ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য কে, এ, এম হেলারিংসহ অনান্যরা। এরা সবাই বিভিন্ন ঘাটের পানি খেয়ে বর্তমান এমপির কাছের লোক বলে নিজেরা প্রচার করে প্রভাব দেখানোর চেষ্ঠা করছেন বলে বাদীর শংকা।