মাসুদ মীর। বাগেরহাট প্রতিনিধি:
বাগেরহাটের ফকিরহাটসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় চাকুরী দেওয়ার কথা বলে টাকা নিয়ে আত্মসাৎ ও প্রতারণার সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিক শেখ মনিরুজ্জামান মনিকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ফকিরহাটের সাতবাড়িয়া গ্রামের মৃত. নুর ইসলামের ছেলে মাহামুদুল হাসান (২৭) এই হত্যার হুমকী দেয়। মাহামুদুল হাসান ফকিরহাট উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য বলে জানা গেছে।
শনিবার (১৬ মার্চ) রাতে হুমকির ঘটনায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ফকিরহাট মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন শেখ মনি। জিডি নম্বর ৮১০। তিনি জাতীয় দৈনিক কালবেলা, স্থানীয় দৈনিক রানার ও দৈনিক ফুলতলা পত্রিকার প্রতিনিধি। এছাড়া ফকিরহাট সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কর্মরত আছেন।
এর আগে, গত ১১ মার্চ ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে ও ফকিরহাট মডেল থানায় ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে মাহামুদুল হাসানের বিরুদ্ধে সরকারি চাকুরী দেওয়ার নামে একাধিকবার নগদ ও ব্যাংক চেকের মাধ্যমে প্রায় কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে প্রতারণার সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশ করেন তিনি। প্রতারক মাহমুদুল হাসান কখনো কাস্টমস কর্মকর্তা আবার কখনো রাজনৈতিক নেতাদের সহযোগী হিসেবে পরিচয় দিয়ে মানুষকে সরকারি চাকুরীর পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখাতো। ভুক্তোভোগীদের মধ্যে একই এলাকার কামরুজ্জামান সুজন টাকা দিয়েও চাকুরী এবং টাকা ফেরত পেতে ব্যর্থ হয়ে প্রতারক মাহামুদুল হাসানের বিরুদ্ধে গত ৭ মার্চ থানায় অভিযোগ করেন। এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশের পর মাহামুদুল হাসান সাংবাদিক শেখ মনিরুজ্জামান মনির অফিসে এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হত্যার হুমকী দেয়।
হুমকির বিষয়ে সাংবাদিক শেখ মনিরুজ্জামান মনি জানান, ভুক্তোভোগী কর্তৃক থানায় লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে মাহামুদুল হাসানের নামে সংবাদ প্রকাশ করার পর একটি সাদা প্রাইভেট কারে আমার অফিসে এসে গালাগালি ও মেরে ফেলার হুমকী দিয়ে চলে যায়। তার এমন আক্রমনাত্মক ব্যবহারে আমিসহ অন্য সাংবাদিকেরা হতবাক হয়ে যাই। গরীব পরিবারের বেকার সন্তান হয়েও মাত্র বছর দুইয়ের মধ্যে এই ছেলেটি কিভাবে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে তা খতিয়ে দেখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেন।
জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করে ফকিরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশরাফুল আলম বলেন, হুমকীদাতা মাহামুদুল হাসানের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এসেছে। তার বিষয়ে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। প্রমাণ পেলে তাকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।