নজরুল ইসলাম, জেলা প্রতিনিধি:
সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের এক শিক্ষার্থীকে গুলি করার ঘটনায় কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের শিক্ষক রায়হান শরীফের পাঁচ দিনের রিমান্ড আজ শুক্রবার শেষ হয়েছে। দুপুরে তাঁকে আদালতে নেওয়া হয়েছে।
জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে ডিবির পরিদর্শক আরো বলেন, একজন শিক্ষক হয়েও রায়হান শরীফ কেন, কী কারণে অস্ত্র-গুলি নিজের সংগ্রহে রাখতে গেলেন, তার প্রকৃত কারণ বের করার চেষ্টা করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানিয়েছেন, ভারতের একটি হিন্দি সিনেমা দেখেই মূলত নিজের কাছে এমন অস্ত্র রাখার পরিকল্পনা করতে শুরু করেন।
এ সম্পর্কে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক জুলহাজ উদ্দীন বলেন, রায়হান শরীফের পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষ হয়েছে। বেলা আড়াইটার দিকে তাঁকে আদালতে হাজির করা হয়েছে।
গত ৪ মার্চ বিকেলে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের শ্রেণিকক্ষে মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার সময় তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আরাফাত আমিনের পায়ে গুলি করেন প্রভাষক রায়হান শরীফ। ওই শিক্ষকের কাছ থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল ও ৮১টি গুলি উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় রায়হানের বিরুদ্ধে সদর থানায় দুটি মামলা হয়েছে। একটির বাদী গুলিবিদ্ধ শিক্ষার্থীর বাবা আবদুল্লাহ আল আমিন। তিনি ছেলেকে গুলি করে হত্যাচেষ্টা ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ এনেছেন। এ মামলায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন রায়হান। অপর মামলাটি করেন সিরাজগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক আবদুল ওয়াদুদ। অস্ত্র আইনে দায়ের করা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১১ মার্চ আদালত তাঁর (রায়হান) পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।