জাহাঙ্গীর আলম, ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধি:
আগামী ১লা জুলাই-২০২৪ হতে সুন্দরবন এক্সপ্রেস, বেনাপোল এক্সপ্রেস ও চিত্রা এক্সপ্রেস রুট পরিবর্তন করে খুলনা – ঢাকা (পদ্মা সেতু, গোপালগঞ্জ, নড়াইল, রুপদিয়া, খুলনা ও যশোর নতুন রুটে চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
এতে করে ঐতিহাসিক এই ট্রেন রুটে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর এবং কালীগঞ্জ এ দুটি ষ্টেশন ঢাকাগামী এই ট্রেনগুলো আর পাচ্ছেনা।
ফলে চরমভাবে সরাসরি ঢাকাগামী রেল যোগাযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে কোটচাঁদপুর ও কালীগঞ্জ এলাকার মানুষ। রেল কর্তৃপক্ষ ও সরকারি এহেনও আত্মঘাতী সিদ্ধান্তে হতাশ কোটচাঁদপুর এবং কালীগঞ্জবাসী। এ আত্মঘাতী সিদ্ধান্তে ফুশে উঠেছে এ এলাকার সকল শ্রেণী পেশার মানুষ। চুয়াডাঙ্গা বাসীর সুবিধার জন্য ঢাকাগামী দুই জোড়া নতুন ট্রেন চালু হবে আগের রুটেই। সেগুলি যাত্রাশুরু করবে দর্শনা স্টেশন থেকে। ফলে ঝিনাইদহের কোন ষ্টেশন সরাসরি ঢাকার সাথে সরাসরি আর কোনো যোগাযোগ থাকলো না ।
শান্তনা স্বরূপ ২ খানা সাটল ট্রেন দেয়া হবে কোটচাঁদপৃর থেকে যশোরের রূপদিয়া স্টেশনে ঢাকাগামী ট্রেনের যাত্রীদের জন্য। ফলাফল কি হবে। ২/৩ ঘন্টা আগে সেই সাটলে উঠে এসে যশোর বসে থাকবেন কখন ঢাকার ট্রেন আসবে সেই অপেক্ষায়। ঢাকা থেকে ফেরার পথেও একই কাহিনী। মালপত্র নিয়ে এ আরেক বিড়ম্বনা।
ঝিনাইদহ জেলা বাসীর প্রাণের দাবি নতুন ২টি ট্রেন চালু হবে সেটা দর্শনার পরিবর্তে মোবারকগঞ্জ থেকে যাত্রাশুরু হোক। আমরা ঢাকাগামী ট্রেন চাই। না হলে অবহেলিত হবে ঝিনাইদহ। অবহেলিত হবে ঝিনাইদহ জেলার ২৫ লাখ জনগণ। চরম লোকশানে ও অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়বে এসব মানুষ। তাই রেল কর্তৃপক্ষ ও সরকার এ আত্মঘাতী ও অন্যায় সিদ্ধান্ত বাতিল করে দর্শনা থেকে আরো দুটি স্টপেজ বাড়িয়ে দিয়ে কালীগঞ্জ- ঢাকা করে তাহলে ঢাকা যেতে আগের মতই সুভিধা পাবে এলাকার মানুষ। কোটচাঁদপুর, মহেশপুর, চৌগাছা ও কালীগঞ্জ এসব এলাকা থেকে প্রচুর পরিমাণে যাত্রী সবাই ট্রেনে যাতায়াত করে । এলাকার মানুষের প্রানের দাবি, এ বিষয় টি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ, রেলওয়ে মন্ত্রি, প্রতিমন্ত্রী, রেলওয়ে সচিব সহ প্রধানমন্ত্রীর সু দৃষ্টি কামনা করছেন ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ ও কোটচাঁদপুর এলাকার সব শ্রেণী পেশার মানুষ।