বিপ্লব সাহা, খুলনা ব্যুরো:
খুলনার ছয়টি আসনের ৪৬ জন মনোনয়ন প্রত্যাশীদের আরো একদিন দুশ্চিন্তার প্রতীক্ষা।
আসন্ন জাতীয় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে খুলনা ছয়টি আসনের মধ্যো ৪৬ জন প্রার্থী নৌকার কান্ডারী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিলেও দলের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক মহলের প্রধান কর্তা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা সহ দলীয় উচ্চ পর্যায়ের হাইভোল্টেজ নেতা কর্মীদের সাথে চুলচেরা বিশ্লেষণের মাধ্যমে ২৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আওয়ামী লীগের ঢাকা জেলা কার্যালয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের মাধ্যমে দেশের তিন বিভাগের নৌকার প্রার্থীদের নাম চূড়ান্ত ঘোষণা করার কথা থাকলেও খুলনা বিভাগকে বাদ রেখে
রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের ৭২ টি আসনের মনোনয়নপত্র চূড়ান্ত করেছেন দলীয় নীতি নির্ধারক মহল। যা ২৫ নভেম্বর দেশের পূর্ণাঙ্গ ৩০০ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের নাম তালিকা চূড়ান্ত ঘোষণা করবেন দলটির প্রধান ও সভানেত্রী শেখ হাসিনা। তথ্যটি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ।
এদিকে প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটেনি খুলনার মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থীদের যার কারনে তাদের আরো এক দিনের প্রতীক্ষার প্রহার গুনতে হচ্ছে।
এজন্য টেনশন আর দুশ্চিন্তার ভাঁজ কপালে ৬ টি আসনের ৪৬ জন মনোনয়ন জমাদানকারীদের।
সেই ক্ষেত্রে ২৫ নভেম্বর শনিবার পর্যন্ত কাঙ্খিত মহেন্দ্রক্ষণের অপেক্ষায় থাকতে হবে এই ৪৬ জনের।
তবে ৬ টি আসনের মধ্যো শুধুমাত্র খুলনা ২ নং আসনের ক্ষেত্রে একা বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র শহীদ শেখ আবু নাসেরের তনয় শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল একাই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
এদিকে এবার খুলনা অঞ্চলের ৬ টি আসন এর মধ্যে নতুনদের আধিক্য দেখা যাচ্ছে বেশি।
তবে দলীয় হাই কমান্ড নেতাদের সূত্রে জানা গেছে যে যতটাই তোর জোর আর প্রচার-প্রচারণা করুকনা কেন দল চুলচেরা বিশ্লেষণের মাধ্যমে যোগ্য প্রার্থীদেরই নৌকার প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন করবে।
কারণ এবারের কঠিন সমীকরণের মধ্যে দিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
আর এক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা তার চিন্তাধারায় যে ব্যক্তিগুলো বিগত দিনে তৃণমূল পর্যায়ে থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে মাঠ থেকে দলকে সুফল দিয়েছে এবং দলের সুষ্ঠ চিন্তা ধারায় অগ্রসর হয়েছে এবং জনসাধারণের সাথে যারা আন্তরিকভাবে বন্ধন সৃষ্টি করে নিজেকে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি হিসেবে গড়ে তোলার সক্ষমতা অর্জন করতে পেরেছে পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে প্রধানমন্ত্রী তথা দলের আজ্ঞা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে মেনে চলেছে কেবল তাদেরকেই গুরুত্বপূর্ণ এই জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ক্ষেত্রে প্রাধান্য দেবে বলে তিনি মন্তব্য করেছেন।
পাশাপাশি তিনি দলীয় সকল নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন দলের সিদ্ধান্ত মতে প্রার্থী যদি একজন বিকলঙ্গ হয় তার হয়ে সবাইকে কাজ করতে হবে।
এবং দল থেকে যারা মনোনয়ন পান নাই তাদের উদ্দেশ্য সভানেত্রী বলেন আপনারা যারা মনোনয়ন পান নাই তানারা কেউই মন খারাপও মনে কোন প্রকার ক্ষোভ পোষণ না করে নিজ নিজ এলাকায় গিয়ে দলের মনোনীত প্রার্থীদের পাশে থেকে নিঃস্বার্থে দলের আদর্শ অনুপ্রাণিত হয়ে নৌকার প্রতীককে বিজয় করার লক্ষ্যে অহিংসাত্মক ভাবে কাজ করবেন এটাই সকল নেতাকর্মীদের কাছে আমার প্রত্যাশা থাকবে।
আর যারা দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে কোনক্রমে বিদ্রোহী অবস্থানে গিয়ে দলীয় মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান করবেন বা করার চেষ্টা করবেন ওই সকল ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দল কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবে।
তবে খুলনার মোট ছয়টি আসনের মনোনয়নপত্র জমাদানকারীরা দল থেকে চূড়ান্তভাবে মনোনীত না হলেও প্রচার-প্রচারণা এবং ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে নিজেদের যোগ্য হিসেবে জাহিল করতে কেউ কারো থেকে পিছিয়ে নাই।
তবে এর মধ্য পুরাতনদের থেকেও নতুনরা নির্বাচনী মাঠে সর্বক্ষেত্রে এগিয়ে রয়েছে এবং ভোটারদের সাথে কুশল বিনিময় ও সুখ দুঃখের খবরা খবর নিচ্ছেন।
পাশাপাশি কেন্দ্রীয় নেতাদের নজর কাড়ার লক্ষে কাক ডাকা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত গণসংযোগ করে যাচ্ছে।
ইতোমধ্য নির্বাচনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি অর্থাৎ এমপি হিসেবে কাকে ভোট দিবে এবং দল থেকে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে মনোনীত করবে কিনা সে ব্যাপারে এলাকার চায়ের দোকান থেকে পাড়ামহুলার ক্লাব ও জনসমাগম এলাকায় সঠিক প্রার্থী বিশ্লেষণের লক্ষে চায়ের কাপে তুমুল আলোচনার ঝড় উঠছে।