বিপ্লব সাহা, খুলনা ব্যুরো:
খুলনা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রর অধ্যক্ষ কাজী বরকতুল ইসলাম যোগদানের পর থেকে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি স্বেচ্ছাচারিতা সরকারি সম্পদ নষ্ট অধীনস্থদের শারীরিক ও মানসিকভাবে লাঞ্চিত করা প্রশিক্ষনার্থীদের গাড়ি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করা প্রশিক্ষণের কাঁচামাল আত্মসাৎ এবং দীর্ঘদিন প্রশিক্ষকদের সম্মানী প্রদান না করা অধীনস্থদের বিভিন্ন ভাষায় গালিগালাজ সহ হুমকি ধামকী প্রদান নারিকেলেঙ্কারি সহ গুরুতর সব অপরাধের প্রতিবাদে এবং অধ্যক্ষর অপসারণের দাবিতে তার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগের তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এর জন্য অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে রবিবার সকাল আটটা থেকে প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক ভবনের সামনে দাবি সম্বলিত ব্যাপারে এ কর্মসূচি পালন করেন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারী ও প্রশিক্ষনার্থীরা।
দ্বিতীয় দিন আজ কর্মসূচি পালনকালে আন্দোলনকারীরা প্রতিষ্ঠান ৪৭ জন শিক্ষক কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা একটি লিখিত অভিযোগ জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর পরিচালকের নিকট প্রেরণ করেন।
একই সাথে প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র ৪ জন শিক্ষকের একটি প্রতিনিধিদল খুলনা পুলিশ কমিশনারের সাথে দেখা করে দাবী সম্বলিত তাদের লিখিত অভিযোগ প্রদান করেছেন এদিকে আন্দোলন মুখে গত দুইদিন যাবত প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ কাজী বরকতুল ইসলাম প্রশাসনিক ভবনে ঢুকতে পারেনি। শিক্ষক ও কর্মচারীদের আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে প্রতিষ্ঠানের প্রশিক্ষণার্থীরাও এ অবস্থান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছেন।
খুলনা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ৪৭ জন শিক্ষক কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সাক্ষরিত মহাপরিচালকের বরাবর প্রেরিত লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে দীর্ঘ ২৩ মার্চ যাবত ভিডিও সম্মানে প্রধান না করে প্রায় ৭ লাখ টাকা উত্তোলন করে ব্যক্তিগত কাজে খরচ করেছেন।
তাছাড়া তিনি প্রশিক্ষণের গাড়ি ব্যক্তিগত কাজে খুলনা যশোর গোপালগঞ্জ বরগুনা ঢাকা সহ বিভিন্ন জেলাতে ইচ্ছামত ব্যবহার করে প্রশিক্ষণের জন্য বরাদ্দকৃত বাজেট থেকে তেল খরচ করে এছাড়া প্রশিক্ষনার্থীদের কাঁচামালের অর্থ আত্মসাৎ করায় প্রশিক্ষার্থীদের কাঙ্খিত প্রশিক্ষণের ব্যাহত হয়েছে।
তাছাড়া অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানের একজন নারী ট্রেইনার এর সাথে অনৈতিক সম্পর্কের কথা তুলে ধরা হয়েছে লিখিত অভিযোগে। উল্লেখ্য বিদেশে সব থেকে চাহিদা সম্পন্ন ট্রেড ওয়েল্ডিং শপটি অধ্যক্ষ কাজী বরকতুল ইসলাম যোগদানের পর থেকে বন্ধ করে দিয়েছে ।
লিখিত অভিযোগে তারা আরো জানান অধ্যক্ষতার সকল অপকর্ম ধামাচাপা দিতে সার্বক্ষণিক সন্ত্রাসী মূলক আচার-আচরণ গালিগালাজ ও মারধরের মতো ঘটনা সহ অধীনস্থদের কে শারীরিক ও মানসিকভাবে লাঞ্ছিত করে আসছে। তাই অদ্যাক্ষর বিরুদ্ধে প্রতি স্থানের প্রশিক্ষণ প্রশাসনিক কার্যক্রম ও যাবতীয় রাষ্ট্রীয় সামাজিক কর্মকান্ড সুষ্ঠুভাবে পালন না করার গুরুতর অভিযোগ করা হয়েছে।
অতএব অবিলম্বে তাকে অপসরণসহ তার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগের তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে গত ৭ ডিসেম্বর থেকে প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষক কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অনির্দিষ্টকালের শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন চলমান রেখেছে ।
গতকাল সকাল আটটা থেকে প্রতিষ্ঠানের প্রধান ফটকের দাবী সম্বলিত পানা ঝুলিয়ে প্রধান ফটক বন্ধ করে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত তাদের দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচি পালন করছেন। এ সময় প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র ইন্সপেক্টর সৈয়দ কামাল আহমেদ মাসুদুল ইসলাম মাহবুবুর রহমান মারুফ আহমেদ হযরত আলী সহ সিনিয়র শিক্ষক কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বক্তৃতা করেন।
সকাল ১১ টায় প্রতিষ্ঠানের চার সদস্যর একটি শিক্ষক প্রতিনিধিদল খুলনা পুলিশ কমিশনারের দপ্তরে বিষয়টি অবহিত করে দাবি সম্বলিত লিখিত অভিযোগ পেশ করেন।
এ বিষয়ে জানতে অধ্যক্ষ কাজী বরকতুল ইসলামের ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে গত রাত ৮ টার দিকে তাকে কল করলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।