রাজু আহমাদ,শালিখা (মাগুরা) প্রতিনিধি:
শীত গুটি গুটি পায়ে এসে দরোজায় কড়া নাড়ছে। দিনে গরম থাকলেও রাতের দিকে শীত তার আগমনী বার্তা দিচ্ছে। এই সময় ত্বকের সমস্যা থেকে শুরু করে নানা ধরনের অসুখ বাধার ভয় থাকে। এই সময় আবহাওয়া আগের চেয়ে অনেকটা বদলে যায়। তার প্রভার পরে শরীরের ওপর। এই সময়ে ঠোঁট ফাটা, হাত-পায়ে চামড়া উঠা ও এলার্জি জাতীয় নানান সমস্যা দেখা দেয়। তাই এ সময়ে সাবধানতা অবলম্বন করা অত্যন্ত জরুরি।শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সারাদিন মাগুরার শালিখায় বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, উত্তর থেকে মৃদু ঠান্ডা হওয়া বইতে শুরু করেছে।
ঘাস কিংবা ধানের কচি পাতায় মুক্তার দানার মতো জমেছে বিন্দু বিন্দু শিশির। সেই সঙ্গে হালকা কুয়াশা ঘেরা প্রকৃতি আর ভোরের শিশির জানান দিচ্ছে শীত আসছে। শীতের সময় অতিথি পাখিদের অস্থায়ী নিবাসে পরিণত হয় বাংলাদেশ। তীব্র শীতের থেকে বাঁচতে তারা আশ্রয় নেয় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। এসময় বাহারি রঙের অতিথি পাখিদের আনাগোনা শুরু হয়।শীতকালে অতিথি পাখিদের কলকাকলিতে মুখরিত হয় চারপাশ। গাংচিল পানকৌড়ি, চ্যাখা, টিকি হাঁস, সোনাজঙ্গ, খুরুলে, কুনচুষী, বাতারণ, শাবাজ, জলপিপি, ল্যাঞ্জা, হরিয়াল, দুর্গা, টুনটুনি, রাজশকুন, লালবন মোরগ, তিলে ময়না, রামঘুঘু, জঙ্গি বটের জানা-অজানা অসংখ্য অতিথি পাখি চারপাশে ঘুরে বেড়ায়।শীত এলে বাংলার ঘরে ঘরে নানা রকমের পিঠা তৈরি হয়। চিতই পিঠা, দুধচিতই, ছিট পিঠা, দুধকুলি, ক্ষীরকুলি, তিলকুলি, পাটিসাপটা, ফুলঝুড়ি, ধুপি পিঠা, নকশি পিঠা, মালাই পিঠা, মালপোয়া, পাকন পিঠা, ঝাল পিঠা ইত্যাদি। বাংলাদেশে শতাধিক ধরনের পিঠার প্রচলন রয়েছে। শীত এলে অতিথি আপ্যায়নে বেশিরভাগ ঘরেই পিঠা তৈরি করা হয়।এদিকে শীতের সঙ্গে সঙ্গে আগাম সবজি চাষ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন প্রান্তিক চাষিরা। মুলা, ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, লাউ, টমেটো, লালশাকসহ বিভিন্ন শীতকালীন সবজির আগাম চাষাবাদ করেছেন। আড়পাড়া বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ আলিফ হোসেন বলেন আজ সারাদিন নিম্নচাপ মিধিলির প্রভাবের কারণে ঠান্ডা বেশি লাগছে তবে রাস্তায় মানুষের গায়ে শীতের পোশাক ব্যবহার করাতে মনে হচ্ছে শীত পরিপূর্ণ ভাবে চলে এসেছে।অপর এক ব্যাবসায়ি জীবন চন্দ্র বলেন অগ্রহায়ণ মাস এসে শীতকে স্বাগত জানিয়েছে।