বিপ্লব সাহা, খুলনা ব্যুরো:
আজ মহা দশমী পূজা ও দর্পণ বিসর্জনের মধ্য দিয়ে সমাপ্তি হলো সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বৃহৎ ধর্মীয় অনুষ্ঠান শারদীয় দূর্গা উৎসব।
দূর্গা পূজার শেষ দিন দশমী দশমীর দিনে মায়ের বিদায়ের মধ্য দিয়ে পাঁচদিনের দুর্গাপুজোর সমাপ্তি হয় তাই দশমী মানেই ভক্তদের মন খারাপ হৃদয়ে বিষাদের আবারণ। এবার মাকে বিদায় দেওয়ার পালা।
উমা তার বাপের বাড়ি ছেড়ে পুনরায় গমন করেন দেবাদিদেব মহাদেবের কৈলাসে।
এই দিন মাকে বরণের পর শুরু হয় সিঁদুর খেলা ।
আদি পৌরাণিক কাহিনীর ব্যাখ্যাতে উল্লেখ আছে যে মহিষাসুরের সঙ্গে মা দুর্গার নয় দিন নয় রাত্রি যুদ্ধ হওয়ার পর দশম দিনে বিজয় লাভ করেন দেবী দুর্গা। আর তখন থেকেই নারী শক্তির এই জয়লাভকে বিজয়া বলে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
দেবী দুর্গার এই বিজয়ের নারী জাতির ধবনীতে আনন্দের উদ্বেলিত হয়ে মেতে ওঠে সিঁদুর খেলায়। একে অপর শধবা নারী মাকে বরণ করার পর তার সিথিতে ও পায়ে সিঁদুর ছুঁয়ে দেন। তারপর নিজেদের মধ্য মেতে ওঠেন সিঁদুর খেলায়।
মন খারাপের মাঝেও হাসিমুখে সিঁদুর খেলা ও মিষ্টি মুখে বিদায় জানানো হয় মাকে শুরু হয় অপেক্ষারা আরো একটি বছরের।
বিজয় দশমীর সকল আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার পরে সন্ধ্যায় খুলনা জেলখানা ঘাট থেকে নগরীর প্রতিটি মন্দিরের প্রতিমা বিসর্জনের আয়োজন করা হয়েছে।
এ সময় বিসর্জন পর্বে উপস্থিত থাকবেন খুলনা জেলা ও মহানগরের পূজা উদযাপন কমিটির কর্মকর্তা গন এবং প্রশাসন মহলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সাথে থাকবেন রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গগণ।
তাছাড়া বিসর্জন পর্ব বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়া সরাসরি সম্প্রচার করবে এবং প্রিন্ট মিডিয়ার গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত থাকবেন।
তবে এ বছর খুলনা সহ আশপাশ এলাকা জুড়ে প্রতিটি পূজা মন্ডপে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই সম্প্রীতির বন্ধনে উদযাপিত হয়েছে শারদীয় দূর্গা উৎসব।
পাঁচ দিনব্যাপী শারদীয় উৎসব ঘিরে প্রশাসনের নজরদারি ছিল কঠোর অবস্থানে।