বিপ্লব সাহা খুলনা ব্যুরো:
দেশের আকাশে শাওয়ালের চাঁদ দেখা গেছে ফলে আগামীকাল পবিত্র ঈদুল ফিতর। গত এক মাস যাবৎ মুসলিম ধর্মের অন্যতম সিয়াম সাধনার মাস পবিত্র মাহে রমজানের ৩০ রোজা শেষ করে অধীর অপেক্ষায় আজ ইফতার শেষে আকাশের দিকে তীক্ষ্ণনজরে আগামীকাল সকালে ঈদের নামাজ আদায় করার লক্ষ্যে লক্ষ কোটি ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা প্রান জুড়িয়েছে অসীম আকাশের বুকে এক কনা চাঁদ দেখে তাই আনন্দ আত্মহারায় মেতে উঠেছে সকল মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষেরা আর তারই সাথে কেউ ব্যস্ত লক্ষ টাকা খরচ করে নামিদামি মার্কেট থেকে বিলাসবহুল সাজসজ্জা পোশাকাদি কেনাকাটা করতে আবার কেউ দ্বারে দ্বারে হাত পেতে ঘুরছে তার একটি এতিম অসহায় শিশুকে নতুন কোন রকম একটি জামা কিনে দিতে সকালে এক চামচ সেমাই মিষ্টি তার মুখে তুলে দিতে বাহুল্য তাদের কাছে অধিক বিলাসিতা কোনরকম সাদামাটা খেয়েদেয়ে ফুটপাতের কোণে বেঁচে থাকাই তাদের জীবনের চাহিদা। এদের মাথার উপর ছাদ নাই জীবনে ছন্দ মিলানো কোন স্বপ্ন নাই গায়ে সকালে গোসল করে আতরের কোন ঘ্রাণ নাই বড় বড় ব্যক্তিদের কাতারে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করার যোগ্যতা এদের নেই এরা শুধু বিহব্বলচিত্তে চেয়ে থাকে ওদেরই দিকে যারা বিলাসিতায় মগ্ন যারা নষ্ট টাকায় কেনা জামা কাপড় পড়ে শীতল ঘরে থেকে অথবা কোটি টাকা দামের গাড়িতে চড়ে কোথাও না কোথাও প্রান্ত থেকে প্রান্ত দিগন্ত জুড়ে ছুটে বেরিয়ে ঈদের একটি দিন হইহুল্লোর মাধ্যমে কাটিয়ে দেওয়া মানুষদের দিকে।
তাই আগামীকাল মুসলিম ধর্মের অন্যতম দিন পবিত্র ঈদুল ফিতর আর এই ঈদের দিনে উন্নত টেকনোলজি ফেসবুকের যুগে দামি পোশাকাদী শরীরে ধারণ করে সাথে খাবার টেবিলে রসনা বিলাস দামি খাবার সাজিয়ে ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করা সমাজের নিপীড়িত গরিব-দুঃখী অনাহারি মানুষদের কথা ভুলে হেদায়েত জ্ঞান বিসর্জন দিয়ে ছবি পোস্ট করতে মত্ত হয়ে ওঠে অথচ এ সকল ছবি দেখে যে সকল শ্রেণীর মানুষেরা অতি দুঃখে কষ্টে আত্ম বেদনায় লুকিয়ে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদে আর পরম করুণাময় এর দরবারে দুহাত তুলে আর্তনাদ জানিয়ে বলে হে পরম করুনাময় তুমি আমাকে সামর্থ দাও তোমারি প্রদত্ত অসহায় সন্তানদের জন্য একটি অন্তত সাদামাটা একটি জামা কিনে দেওয়ার এক মুঠো খাবার মুখে তুলে দেওয়ার।
তাই এ লক্ষ্যে সমাজের বিত্তবান মুসলিমদের প্রতি আহবান আপনারা অন্তত রাস্তার ধারে পড়ে থাকা এতিম অসহায় নির্যাতিত নিপীড়িত সন্তানদের দিকে একটু লক্ষ্য রেখে হলেও এ কাজটি করবেন না। এমন আহ্বান জানিয়েছেন সমাজের অনেক বিবেকবান ব্যক্তিরা।