আবুজর গিফারী, বেড়া উপজেলা প্রতিনিধি।
আজ বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে জোড়াদহ ঈদগাহ মাঠে এই নামাজ আদায় করা হয়। বেড়া করমজা মসজিদের ইমাম মাওলানা আবু দাউদ সাহেব এর ইমামতিতে নামাজে অংশ নিয়েছে শত শত মুসল্লি।
নামাজ শেষে মুসল্লিদের নিয়ে খুতবা ও দোয়া করেন আবু দাউদ সাহেব। ইসতিসকার নামাজ পূর্ব আলোচনায় ইমাম সাহেব বলেন, তীব্র দাবদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত৷ ওষ্ঠাগত মানুষ ও পশুপাখির জীবন৷ হুমকির মুখে ফল ও ফসল৷ এসময়ে প্রয়োজন রহমতের বৃষ্টি৷ প্রিয়নবী (সা.) এমন অনাবৃষ্টিতে লোকদেরকে নিয়ে মাঠে বেরিয়ে যেতেন এবং ইস্তিসকা তথা বৃষ্টি প্রার্থনার সালাত আদায় করতেন। (বুখারি, মুসলিম)
তিনি আরো বলেন বান্দা যখন সুদের সাথে বেশি জড়িয়ে পড়েন, যথাযথভাবে যাকাত আদায় বন্ধ করেন, জমিনে জুলুম শ্বসন বেড়ে যায়, ন্যায় বিচারের পরিবর্তে অন্যায় অবিচারে সমাজ গুলো কুলুষিত হয়, তখন আল্লাহর পক্ষ থেকে অনাবৃষ্টি অতিবৃষ্টির গজব জমিনে আসে।
ঈদগাহ মাঠের সেক্রেটারি বিশিষ্ট সমাজসেবক ডাক্তার আব্দুল বাসেত খান বলেন, বান্দা যখন পাপে নিমজ্জিত হয়ে আল্লাহর নেয়ামতকে অস্বীকার করে, সুদকে যখন অন্য সকল হালাল লেনদেনের মতো স্বাভাবিক মনে করে, তখন আল্লাহর পক্ষ থেকে ওই জমিনে অনাবৃষ্টির মত গজব বর্ষিত হয়। তাই এখন আমাদের প্রত্যেককে আল্লাহর দরবারে ধর্না দিতে হবে। খালেস নিয়তে তওবাহ্ করতে হবে।
মানুষ কতটা অসহায় খাস নিয়তে অনুধাবন করতে হবে এবং আমাদের অসহায়ত্ব আল্লাহর কাছে প্রকাশ করে আল্লাহর কাছে কান্নাকাটি করতে হবে। বেশি বেশি ইস্তেগফার করতে হবে। আল্লাহ আমাদের তাওবাহ্ কে কবুল করুন। এই অঞ্চলের প্রত্যেকটি মসজিদের ইমামগণ উপস্থিত ছিলেন এবং দল-মত নির্বিশেষে সকল স্তরের মানুষের ঢল নামে। এবং আরো অন্যান্য ইমামরাও বক্তৃতার মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করেন। জোড়াদহ ঈদগাহ ময়দান ছাড়াও আরো বেশ কয়েকটি স্থানে নামাজ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
নামাজ শেষে খুতবা ও দোয়ার মাধ্যমে ইসতিসকার নামাজের কর্মসূচি সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।