মো: আশরাফুল ইসলাম,মানিকগঞ্জ.
‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমা দিয়ে ঢালিউডে অভিষেক চিত্রনায়িকা মৌসুমীর। নব্বই দশকের শুরুর দিকে এক তরুণীর মিষ্টি হাসি আর মায়াবী চাহনিতে বুঁদ হয়েছিলো বাংলার সিনেমাপ্রেমী।
আজ শুক্রবার (৩রা নভেম্বর) চিরসবুজ নায়িকা, প্রিয়দর্শিনী মৌসুমীর জন্মদিন। প্রিয় অভিনেত্রীর জন্মদিনটি কেক কেটে উদযাপন করেছেন মানিকগঞ্জের ভক্ত সদর উপজেলাধীন পুটাইল ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান মো: লুৎফর রহমান ।
মৌসুমীর সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করে মো: লুৎফর রহমান তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন,আমি চিত্র নায়িকা মৌসুমীর খুব বড় একজন ভক্ত। তার অভিনীত সবগুলো সিনেমাই আমি দেখেছি। আমি প্রায় ১২/ ১৩ বছর যাবত কেক কেটে চিত্রনায়িকা মৌসুমীর জন্মদিন করি ।
উল্লেখ্য, মৌসুমীর জন্ম ১৯৭৩ সালে খুলনায়। কৈশোরেই তিনি গান এবং অভিনয়ের সঙ্গে নিজেকে জড়ান। তবে রূপালি পর্দায় অভিষেক হয় ১৯৯৩ সালের কালজয়ী সিনেমা ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ দিয়ে। এরপর তাকে অনেক ব্যবসাসফল ছবিতে দেখা গেছে। এর মধ্যে কয়েকটি হলো- ‘অন্তরে অন্তরে’, ‘দোলা’, ‘লুটতরাজ’, ‘ভণ্ড বাবা’, ‘আম্মাজান’, ‘ইতিহাস’, ‘লাল দরিয়া’, ‘মোল্লা বাড়ির বউ’, ‘মেশিনম্যান’, ‘খায়রুন সুন্দরী’, ‘দেবদাস’ ইত্যাদি।
মৌসুমী ও ওমর সানী ভালোবেসে বিয়ে করেছেন ১৯৯৬ সালের ২ আগস্ট। তাদের ঘর আলো করে এসেছেন ছেলে ফারদিন এহসান স্বাধীন ও কন্যা ফাইজা আবিহা।
শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে মৌসুমী তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, ছয়বার বাচসাস এবং ছয়বার মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার পেয়েছেন।