আব্দুল খালেক রৌমারী কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
স্বামীর নির্যাতনে স্ত্রীর বিষ পানে আত্মহত্যার ঘটনাটি ঘটেছে রৌমারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের কলাবাড়ী গ্রামে। এলাকা সুত্রে জানা গেছে মৃত্যু আমেনা খাতুনের মা কয়েকদিন আগেই মৃত্যুবরণ করেছেন। মায়ের মৃত্যুর খবরে মেয়ে আমেনা মাকে শেষ দেখাটা দেখতে যাবে। এসম আমেনার পাষন্ড স্বামী সোনা মিয়া তার স্ত্রীকে যেতে দেবেনা মায়ের লাশ দেখতে। এমন বাধার মুখে স্ত্রী পাষন্ড স্বামীর কাছে। এনিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে কলহ চলছিল প্রায় ২০ দিন ধরেই। এমতাবস্থায় স্ত্রীর উপর স্বামীর নির্যাতন ধারাবাহিকভাবে চলতে থাকায় অবশেষে আত্মহত্যার পথ বেচে নিয়েছে আমেনা খাতুন। বৃহুস্পতিবার সকাল আনুমানিক ১০টার দিকে স্বামী স্ত্রীর উপর নির্যাতন চালালে সইতে না পেড়ে বিষ পান করেছে বলে সুত্রে জানা গেছে। বিষ খাওয়ার বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকাবাসী জীবিত অবস্থায় রৌমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে এসে ভর্তি করেন। হাসপাতালের কর্মরত চিকিৎসক তাকে চিকিৎসা দেয়ার চেষ্টাকালেই কয়েক মিনিটের মধ্যেই আমিনা খাতুনকে মৃত্যু ঘোষনা করেন। মায়ের মৃত্যুর খবরে মেয়ে আমেনা মাকে দেখতে না দেওয়ায় এমন ঘটনাটি ঘটেছে বলে এলাকাবাসীর দাবি। পাষন্ড স্বামীর অমানবিক কর্মকান্ডের নির্যাতন সইতে না পেড়েই বিষ পান করে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে বলে জানা গেছে। বিষ পানের ঘটনাটি ঘটেছে সকাল ১০ টার দিকে আমেনার স্বামীর বাড়িতে। ঘটনাটি সন্দেহজনক হওয়ায় পাঠানো হচ্ছে মর্গে। এবিষয় রৌমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আবাসিক ডাঃ দুলাল চন্দ্র জানান কলাবাড়ী গ্রামের সোনা মিয়ার স্ত্রী আমেনা খাতুনকে হাসপাতালে আনার কয়েক মিনিট বেচে ছিলো আমরা চিকিৎসা দেয়ার সময়ই পাইনি তার আগেই মারা যায়। পরে খবর পেয়ে রৌমারী থানা পুলিশ এসে লাশ থানায় নিয়ে যায়। এবিষয় রৌমারী থানার তদন্ত ইনর্চাজ মোসাহেদ খান বলেন আমরা লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরন করছি।