বিপ্লব সাহা, খুলনা ব্যুরো:
ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার ধর্মীয় রাষ্ট্রনয় ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র চাই,
এবং সার্বজনীন শিক্ষা চাই সাম্প্রদায়ীকতার অবসান চাই।
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ছাত্র যুব ঐক্য পরিষদ সর্বদা এই স্লোগান কে সামনে রেখে সকল কর্মসূচি পালন করে আসছে।
আজ ১৩ অক্টোবর শুক্রবার সকাল ১০ টায় বাংলাদেশ যুব ও ছাত্র ঐক্য পরিষদ খুলনা মহানগর ও জেলা শাখার উদ্যোগে
জেলা শাখার সভাপতি স্বপন কুমার রায় এর সভাপতিত্বে নগরীর পিকচার প্যালেস মোড়ে আলোচিত ঘটনা মুন্সীগঞ্জের মেয়র ফয়সাল বিপ্লব কর্তৃক প্রকাশ্য সমাবেশে স্থানীয় সংসদ মৃণাল কান্তি দাস কে মালাউন বলে সাম্প্রদায়িক গালিগালাজ কুমিল্লার সাংসদ বাহাউদ্দিন বাহার কর্তৃক শারদীয় দুর্গাপূজাকে কটাক্ষ করে পূজার্থী জনগণের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত কুড়িগ্রাম চারণ কবি রামপদ রায় এর উপর বর্বরচিত হামলা এবং বিভিন্ন স্থানে পুজোর প্রাক্কালে অব্যাহতভাবে মন্দিরে হামলা ও বিগ্রহ ভাঙচুরের প্রতিবাদে এবং পুজোর ছুটি তিনদিন ও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে দেশের সংখ্যালঘুদের মৌলিক ৭ দফা দাবি পূরণের লক্ষ্যে মানববন্ধন সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নগরীর দোল খোলা শীতলা মাতা ঠাকুরানী মন্দিরের কার্যকারী কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিজয় কুমার ঘোষ ।
এ সময় সংগঠনের বিভিন্ন বক্তাগণ তাদের বক্তৃতায় বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষেরা বারবার নির্যাতিত হচ্ছে এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে এমন কুরুচিপূর্ণ কটাক্ষ ভাষায় গালিগালাজ সম্পত্তি দখল দেশ স্বাধীনের পূর্বকাল থেকেই দেশের কোথাও না কোথাও প্রতিনিয়ত ধর্মীয় উপাসনালয় মঠ মন্দির প্রতিমা ভাঙচুর নারী ধর্ষণ জুলুম নির্যাতন অত্যাচার হয়েই যাচ্ছে।
এবং সেই প্রত্যাক্ষ ঘটনা গুলো দেশের বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার হয়ে তা সমগ্র বিশ্বব্যাপী প্রদর্শিত হচ্ছে।
অথচ সরকার এব্যাপারে সাময়িক পদক্ষেপের মাধ্যমে লোক দেখানো ব্যবস্থা ও সংখ্যালঘুদের মন ভুলানো কিছু সান্তনার বাণী শোনালেও প্রকৃত অপরাধীরা থেকে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।
এসময় বক্তারা আরো বলেন সাম্প্রতিক এ বছরই প্রধানমন্ত্রীর নিজ এলাকায় গোপালগঞ্জের গোপিনাথপুরে স্বগৌরবে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটলেও তার কোন সমাধান বা বিচার কার্যক্রম এখনো আমাদের নজরে পড়েনি।
প্রতি বছর আমাদের দেশে সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষদের সবথেকে বড়ো ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা আসার প্রাক্কালে কিছু শ্রেণীর হীন প্রবৃত্তির মানুষেরা তাদের রাজনৈতিক ফায়দা লোটার লক্ষ্যে এই ঘটনাগুলো ঘটিয়ে যাচ্ছে।
তবে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বার বার সংখ্যালঘুদের নিয়ে একটা কথাই বলেন দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষেরা ভালই আছে তাদের প্রতিটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সরকারি অনুদান যথারীতি ভাবে পৌঁছিয়ে দেওয়া হয়। এবং তাদের প্রতিটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান আনন্দ উদ্দিপনা এবং মহা সমারহের সাথে প্রশাসনের সকল ধরনের নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে নির্দ্বিধায় পালন করতে পারে।
তিনি এ কথা বলেন ঠিকই অথচ তারই দেশের তারই সম্প্রদায়ের মানুষ কর্তৃক প্রতিনিয়ত লাঞ্ছিত হচ্ছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষেরা। তাছাড়া তিনি হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ এই সংগঠনের সকল মানুষদের তানার নিজস্ব ভোট ব্যাংক হিসেবে ব্যবহার করলেও আজ পর্যন্ত এই সংগঠনের মৌলিক ৭ দফা দাবি আদায়ের একটি দাবিও তিনি পূরণ করেননি।
অথচ এই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষেরাই তাকে বুক পিঠ দিয়ে আগলে রাখে।
অথচ তানারই পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আমল থেকেই প্রতিটি নির্বাচনে প্রকাশ্যভাবে সংখ্যালঘুদের ভোটে বিজয় হয়ে আসছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা স্বপক্ষের দল আওয়ামী লীগ সংগঠন।
এ সময় বিভিন্ন বক্তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মিঠু কুমার দে বিমান কুমার সাহা পঙ্কজ দেবনাথ ও সহ সংগঠনের আরো অনেক নেতাকর্মীগণ।