দুই সেলফিতে বিএনপির ঘুম হারাম উন্নয়ন ও শান্তি সমাবেশে-ওবায়দুল কাদের।

মোঃরইস উদ্দিন(রিপন)স্টাফ রিপোর্টার নারায়ণগঞ্জঃ

নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত উন্নয়ন ও শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে শুক্রবার বিকেলে বাংলার প্রাচীন রাজধানী সোনারগাঁয়ের কাঁচপুর মোড়ে,ঢাকার প্রবেশপথে উন্নয়ন ও শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।উন্নয়ন ও শান্তি সমাবেশ উপলক্ষে সোনারগাঁয়ের বিভিন্ন সড়কে ফেস্টুন,ব্যানার বর্ণিল সাজে সেজে গেছে।সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট শামসুল ইসলাম ভূঁইয়া,সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত এবং সিনিয়র সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুদের নেতৃত্বে প্রায় ২০ হাজারেরও বেশি নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে উন্নয়ন ও শান্তি সমাবেশ স্থলে যোগ দিলে,সমাবেশ স্থল কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়।জয় বাংলা,জয় বঙ্গবন্ধু,জয় শেখ হাসিনা সহ আরো বিভিন্ন রকমের দলীয় স্লোগানে মুখরিত হয় সমাবেশ স্থল ও আশপাশের এলাকা।নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ, আড়াইহাজার,সোনারগাঁও,বন্দর ও ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকা হতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত লক্ষাদিকের উপরে প্রায় নেতাকর্মী উন্নয়ন ও শান্তি সমাবেশে সমাগম ঘটে।নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাইয়ের সভাপতিত্বে,প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে সমাবেশে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্যে,বিএনপি সহ বিরোধীদের দাবী প্রত্যাখ্যান করে,প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি।ওবায়দুল কাদের এমপি তার বক্তব্য বলেন-তত্ত্বাবধায়ক সরকার মরিয়া ভূত হয়ে গেছে।তত্ত্বাবধায়ক সরকার চির নিদ্রায় ঘুমাচ্ছে।এগুলো মাথা থেকে নামান।নয়তো এই ভূতে বিএনপিকে শেষ করে দিবে।তত্ত্বাবধায়ক সরকার কোনদিন আর চোখ মেলে তাকাবে না।এখন কোয়ার্টার ফাইনাল খেলা,সামনে সেমিফাইনাল খেলা,জানুয়ারিতে হবে ফাইনাল খেলা।খেলা হবে তারেকের বিরুদ্ধে,খেলা হবে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে,খেলা হবে দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে।তিনি বলেন-মীর্জা ফখরুল বলেছেন ঢাকাকে অচল করে দিবেন।আমরা বলতে চাই দেশের মানুষই আগামীতে বিএনপিকে অচল করে দিবেন।এই নারায়ণগঞ্জই যথেষ্ট বিএনপিকে অচল করার জন্যে।সামনে জিনিসপত্রের দাম কমে আসবে বলেও আবাস দেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।অচিরেই তেল,চাল,ডাল সহ প্রয়োজনীয় নিত্য পণ্যের দাম কমে আসবে।প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভুল না বুঝতে ও প্রধানমন্ত্রীর উপর আস্থা রাখার জন্যে বলেন।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের জনগণের জন্যে দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছে।ওবায়দুল কাদের এমপি মীর্জা ফখরুলকে উদ্দেশ্য করে বলেন- মীর্জ ফখরুল তত্ত্বাবধায়ক বলতে বলতেই শেষ।দুই সেলফিতেই বিএনপি’র ঘুম হারাম হয়ে গেছে।ভারতে একটি অপরটি নিউইয়ার্কে।সেতুমন্ত্রী আরো বলেন-জ্বালা,অন্তরে জ্বালা।পদ্মা সেতু হয়ে গেল,মেট্রোরেল হয়ে গেল,এলিভেটেড এক্সপ্রেস হয়ে গেল।একদিনে একশত সেতুর উদ্বোধন।জ্বালা রে জ্বালা,অন্তর জ্বালা।বিএনপি খাম্বা দিয়েছে,বিদ্যুৎ দেয়নি।এখন শেখ হাসিনার আমলে শতভাগ বিদ্যুতায়ন হচ্ছে।অক্টোবর মাস পার হয়ে যাচ্ছে,ফখরুল নাকি ঢাকা অবরোধ করবেন।এই নারায়ণগঞ্জের সমাবেশ থেকে বলতে চাই জনগণ তাদের জবাব দিবেন।আগুন নিয়ে আসলে হাত পুড়িয়ে দিবে।লাঠি নিয়ে আসলে হাত ভেঙে দিবে।মীর্জা ফখরুল বলেন শেখ হাসিনা নাকি ঘুরাঘুরি করে।শেখ হাসিনা কোথায় গেছেন মীর্জা ফখরুল কি তা জানেন?প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গিয়েছেন ভারতে জি-টুয়েন্টি সম্মেলনে,নরেন্দ্র মোদি তাকে সন্মান দিয়েছেন।নিউইয়র্কে গিয়েছেন সন্মান পেয়েছেন।শেখ হাসিনাকে নিয়ে আমরা গর্বিত।দেশের প্রয়োজনে তিনি বিদেশ যান।প্রধানমন্ত্রী ব্রাসেলসে যাচ্ছেন আমন্ত্রণে।তিনি যাচ্ছেন দেশের জনগণের জন্যে।বিএনপির সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের এমপি বলেন-বিএনপি গনতন্ত্রের কি জানে?বিএনপি জানে মানুষ খুন,ভোটচুরি ও লুটপাট।শেখ হাসিনাকে বিএনপি টার্গেট করেছিলো।বিএনপির হাতে জনগন আর ক্ষমতা ফিরিয়ে দিবে না।সকলকে বিএনপি থেকে সাবধান হতে বলেন।পরবর্তীতে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানাক।নানক তার বক্তব্যে জাতীয় পার্টিকে উদ্দেশ্যে করে বলেন-জাতীয় পার্টির ভাইয়েরা বড় বড় কথা বলেন।আওয়ামীলীগ ছাড়া কয়টা সীট পান।আওয়ামী লীগ জনগণের দল।গণমানুষের দল।আর ঐদিকে লন্ডন বসে তারেক রহমান এদেশকে অশান্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে।কাঁচপুরে যদি নির্বাচন নিয়ে যদি কেউ বিরোধিতা করে,তাহলে আপনারা কি চুপ করে বসে থাকবেন?ছাএ শ্রমিক ভাইয়েরা উন্নয়নের এই জোয়ারকে অব্যাহত রাখতে শেখহাসিনাকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন।তিনি আরো বলেন-এখানে এখন সোনারগাঁয়ের জাতীয় পার্টির এমপি আছেন।তিনি আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করতে চাচ্ছন।এটি জাতীয় পার্টির সীট না,এই এলাকা আওয়ামী লীগের সীট।এই এলাকাকে ও এলাকার মানুষকে রক্ষা করতে এখানকার মাুনুষ নৌকা চায় বলে ও বলেন।সমাবেশকে আরো প্রাণবন্ত করার জন্য উপস্থিত ছিলেন-যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম  বাহাউদ্দিন নাসিম,সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন,যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ,নারায়ণগঞ্জ -১আসনের এমপি পাঁট ও বস্ত্রমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর বিক্রম,নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের এমপি নজরুল ইসলাম বাবু,নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি এ কে এম শামীম ওসমান,বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গাজী মেজবাউল হক সাচ্চু,সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু,বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি এমপি,সাধারণ সম্পাদক শবনম জাহান শিলা,বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতির সাদ্দাম হোসেন,সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান,নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ মোহাম্মদ বাদল,নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন,সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা,নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত,সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট শামসুল ইসলাম ভূঁইয়া,সিনিয়র সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম চেয়ারম্যান,যুগ্ন সাধারন সম্পাদক আশরাফুজ্জামান,বাংলাদেশ নগদ লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক ও সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মারুফুল ইসলাম ঝলক,সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগের  মোগরাপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আরিফ মাসুদ বাবু,নারায়ণগঞ্জ জেলা সাবেক ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হাজী সোহাগ রনি,সোনারগাঁও আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু,সাধারণ সম্পাদক আলী হায়দার,সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফ হোসেন,সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি পদপ্রার্থী আনিসুর রহমান আনিস,সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য কালাম,ডাঃভীরু,দীপক কুমার বনিক,এরফান হোসেন দীপ,এইচ এম মাসুদ দুলাল,সোনারগাঁও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাশেদুল ইসলাম  রাসেল,সাধারণ সম্পাদক সাগর,শম্ভুপুরা ইউনিয়নের তরুণ প্রজন্মের নেতা রাসেল উদ্দিন,ডাঃমোস্তফা কামাল,নাসির উদ্দিন প্রধান, মোহাম্মদ ইব্রাহিম,পীর মোহাম্মদ,আব্দুল মজিদ,পিরোজপুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতা সালাম ভূঁইয়া,ইউপি সদস্য খোরশেদ ফরাজী,রাসেল সিরাজ,আজিজ সরকার,বাবুল সরকার,আলাউদ্দিন মুন্সি,তাইজুদ্দিন মুন্সি,সোহেল সিকদার,স্বপন মিয়া,মোঃ সিরাজুল ইসলাম সিরাজ প্রমুখ।