হাফিজুর রহমান কাজল, চুয়াডাঙ্গা:
চুয়াডাঙ্গা জেলার দামড়হুদা উপজেলায় ঈদকে সামনে রেখে পোষাক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন দর্জি পাড়ার কারিগররা।কাটিং মাস্টার ক্রেতার শরীরের মাপ অনুযায়ী কাটছেন কাপড়, আর কারিগররা সেটি নিখুঁত শৈল্পিক হাতে সেলাই করে পোশাক তৈরি করছেন। ঈদের আগেই পোশাক ক্রেতার হাতে তুলে দিতে রাত দিন কাজ করে চলেছেন কারিগররা। নাওয়া- খাওয়া ঘুম ও বিশ্রামের সুযোগ পাচ্ছেন না তারা। এরপরও পোশাক তৈরি ব্যবসায়ীরা বলছেন, এ বছর তারা ক্রেতাদের কাছ থেকে আশানুরুপ সাড়া পাননি।গার্মেন্টসের তৈরি অভিজাত নামিদামি ব্রান্ডের পোশাকের ভিড়ে দর্জির হাতের তৈরি পোশাকে কদর একটুও কমতি নয়। বিশেষ করে ঈদ পার্বনে রুচিশীল ক্রেতারা অভিজাত শপিং মল থেকে নামি দামি কোন ব্র্যান্ডের পোশাক না কিনে ছিট কাপড় কিনে ছুটে আসছেন দর্জি পাড়ায়। দর্জির নিপুণ হাতের ছোঁয়ায় তৈরি পোশাক ছাড়া তাদের ঈদ যেন অপূর্ণ থেকে যায়। দামড়হুদায় রিপন টেইলার্স,রেমন্স,বিশ্বাস টেইলার্স, রহমান বস্ত্রালয়, মালেক বস্ত্রালয় রাজধানী গার্মেন্টস রাজন গার্মেন্টসসহ বহু অভিজাত দর্জির দোকান রয়েছে যেখানে বছর জুড়ে চলে পোশাক তৈরির কর্মযজ্ঞ। ঈদ কিংবা অন্য কোন পার্বন এলে সেটি কয়েকগুণ বেড় যায়। পুরুষের তৈরি পোশাকের তালিকায় রয়েছে পাঞ্জাবি, পাজামা ট্রাউজার ও জুব্বা অপরদিকে, মহিলাদের তৈরি পোশাকের তালিকায় রয়েছে সালোয়ার,ফ্রক কামিজ বোরকা ও হিজাব। দাম্র তো উপজেলার পড় সরে জমিন ঘুরে কয়েকজন টেইলার্সের সাথে কথা হয় তারা জানালেন, আমরা দর্জির হাতে তৈরি পোশাকে অভ্যস্ত বছরের বিভিন্ন সময়ের পাশাপাশি প্রতি রমজানের ঈদে আমরা পোশাক তৈরি করি তাই প্রতিবারের মতো এবারের ঈদে পাঞ্জাবি, পাজামা,সালোয়ার,কামিজ, ফ্রকসহ অন্যান্য পোষক তৈরি করছি। তবে এবার রমজানের ঈদকে সামনে রেখে ক্রেতা সাধারনের কাছ থেকে আসানুরূপ সারা পাইনি এ বছর কাজ তুলনামূলক অনেক কম। বিগত বছর রমজানের আগে কিংবা রমজান শুরু হলে কাজের চাপে অর্ডার নেয়া বন্ধ করে দিতাম কিন্তু এ বছর রমজানের প্রথম দশকে কাজের চাপ অনেক কম দ্বিতীয় দশকে কাজের চাপ একটু বেড়েছে তবে কাজের অর্ডার বন্ধ করে দেয়ার মত অবস্থা এ পর্যন্ত তৈরি হয়নি। বর্তমানে কাজের যে অবস্থা তাতে করে আমরা যদি অর্ডার নিই, ডেলিভারি দিতে পারব ষথাসময়ে। তারা আরো বলেন, এবছর তৈরি পোশাকের মজুরি বৃদ্ধি করা হয়নি আগের বছরের মূল্য তালিকা অনুযায়ী পোশাকের মজুরি নেয়া হচ্ছে।