বিপ্লব সাহা, খুলনা ব্যুরে:
খুলনায় দ্রব্যমূল্যের বাজার সরগম নতুন সরকারের দেওয়া প্রতিশ্রুতি এখন চ্যালেঞ্জের মুখে
পাশাপাশি নবগঠিত মন্ত্রিপরিষদ নিয়ে সমালোচনায় মুখর সাধারণ মানুষ। ১৫ দিন বয়সের সরকারের দেওয়া প্রতিশ্রুতির সবকিছু যেন বাজার পর্যায়ের সিন্ডিকেট কারসাজি আমলাদের কঠোর অবস্থানে কারণে উল্টোপাল্টা বেগতিক লাইনে চলছে দ্রব্যমূল্যের অনিয়ন্ত্রিত গাড়ি। কারণ যেদিন থেকে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের আভাস দিয়েছে মন্ত্রী পরিষদ আর ঠিক সেই মুহূর্ত থেকেই সকল নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য লাগামহীন পাগলা ঘোরার মত ছুটে চলেছে। আর এই দ্রব্যমূল্যর বেসামাল পাগলা ঘোড়ার লাগাম টানবে কে কারা সরকারের প্রতি দেশের সাধারণ মানুষদের প্রশ্ন ।
একদিকে সাধারণ জনগণের চাওয়া পাওয়ার বাস্তবায়নের প্রত্যাশা অন্যদিকে গণমাধ্যম কর্মীদের প্রশ্নর সম্মুখীন এতে করে নাজেহাল সদ্য ভূমিষ্ঠ্য সরকার।
অপরদিকে ঘোষণা অনুযায়ী ৩১ জানুয়ারী দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
অথচ এবারের নবনির্বাচিত সরকার অর্থনৈতিক মন্দা খাদ্য সংকট হ্রাসকৃত বৈদেশিক রেমিটেন্সে ডলারের মূল্য বৃদ্ধি গ্যাস বিদ্যুৎ সহ সকল সেক্টর থেকে দেশকে পুনরুদ্ধার ও সিন্ডিকেট সংস্কারের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপরিচালনার জন্য তড়িঘড়ি করে যে সকল ব্যক্তিদের ওপর পূর্ণ ভরসা রেখে দেশের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো মন্ত্রী পরিষদ গঠন করেছেন
এক্ষেত্রে দেশে ঘটে যাওয়া নির্বাচনের যেমন লক্ষণীয় অংকের ভোটার উপস্থিতি ছিল না তেমন। পাশাপাশি নির্বাচনে বহির্বিশ্বের কিছুটা পারিপার্শ্বিক চাপসহ অন্যতম বিরোধীদলের অংশগ্রহণ না থাকায় এখনো খানিকটা বর্তমান সরকার বিভিন্ন কারণে দদুল্যমান অবস্থার মধ্য থেকে মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীদের দায়িত্বভার বুঝিয়ে তাদেরকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে নিষ্ঠা ও সততার সাথে দায়িত্ব পালন করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ইতোমধ্যা দেশের খাদ্যদ্রব্য অর্থনৈতিক অবস্থা নিত্য পণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ আসন্ন রমজান মাসকে সামনে রেখে এ সকল মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীরা পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থানে আনতে যে কৌশল অবলম্বন করেছে তাতে করে ব্যবসায়িক সকল সেক্টরের আমলাতান্ত্রিক সিন্ডিকেট দের পায়ের নিচের মাটি অনেকটাই সরে গেছে বলে তারা অস্বাভাবিক বেসামাল হয়ে পড়েছে।
যার কারনে তারা উন্মাদের ন্যয় সরকার বিরোধী অনেক কটাক্ষ মন্তব্য করেছে। যার কারনে সারা দেশব্যাপী বর্তমান আলোচনার শিরোনামে রয়েছে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ।
সরকারের কঠোর অবস্থানের প্রেক্ষিতে সকল ব্যবসায়ীরা ব্যবসায়ের অন্যতম মৌসুম রমজান মাসকে অধিক মুনাফা অর্জনের উজান স্রোতের কালোবাজারি অর্থের মাধ্যমে স্বপ্ন দেখে ক্রোরপতি হওয়ার।
আর এ সকল সিন্ডিকেট অসাধু
কারসাজি মজুদ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়ে কঠোর অবস্থানে থেকে ৭ দফা দাবি নিয়ে আন্দোলন করার হুমকি দিয়েছে নাগরিক আন্দোলন খুলনা।
এ সংগঠনের দায়িত্বরত কর্তারা বলেছেন বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের কঠোর নির্দেশনার পর ও পরিস্থিতির কোন উন্নতি হচ্ছে না বরং প্রশাসনের এ অভিযোগ দেখানো অবস্থার সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
তাছাড়া দ্রব্যমূল্যর ঊর্ধ্বগতির ফলে সৃষ্ট দুর্বিষহ অবস্থার দ্রুত অবসান প্রয়োজন। সিন্ডিকেট ও
মধ্যসত্ব ভোগীদের কারণে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যর এই বেহাল দশা। বাজার ব্যবস্থা যে ভয়াবহ সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে তা নির্মূল করতে হবে। তাদের ৭ দফা দাবি সমূহের মধ্যে রয়েছে অবিলম্বে অসৎ ব্যবসায়ী মজুদদার ও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা, রমজান মাসকে কেন্দ্র করে অসাধু ব্যবসায়ীদের দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির অনৈতিক কার্যক্রম কঠোরভাবে দমন করা, অনিয়ম দুর্নীতি উৎখাত করে ‘টিসিবি’ এবং খাদ্য অধিদপ্তর পরিচালিত ‘ওএমএস’ কার্যক্রম নিত্য প্রয়োজনীয় জনসাধারণ ও নিম্ন আয়ের মানুষদের মধ্য সহজলভ্য করা, বাজারের খাদ্যদ্রব্য মনিটরিংয়ে যুক্ত সংস্থার দক্ষতা ও সততা নিশ্চিত করা,খাদ্যদ্রব্য মজুদ সংক্রান্ত যুগোপযোগী আইন প্রণয়ন এবং ভোক্তা অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে প্রতিটি জেলায় নিয়মিত গণ শুনানির আয়োজন করতে হবে।
পাশাপাশি খুলনার মধ্যম শ্রেণীর মানুষেরা জোর দাবি দিয়ে বলেন নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য নয় জীবন রক্ষাকারী ওষুধের দাম ও কয়েক গুণে বেড়েছে আমদানি পণ্যর অজুহাত দেখিয়ে সাধারণ মানুষের পকেট কাটা হচ্ছে ‘ওএমএস’ ও ‘টিসিবি’ পণ্য বিক্রির ব্যবস্থাপনার ত্রুটিতে অসহায় মধ্যবিত্ত নিম্নবিত্ত মানুষেরা সুফল বঞ্চিত হচ্ছে।
এমন অনেকে আছে প্রয়োজন থাকা সত্বেও তারা রাস্তায় দাঁড়াতে পারে না অথচ তারা প্রয়োজনের তুলনায় রোজগার কম থাকায় চক্ষু লজ্জার অন্তরালে খুদা যন্ত্রণার অসহনীয় যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়।
আর এ সকল দিকে বর্তমান নতুন সরকারের লক্ষ্যরক্ষাই হচ্ছে দেশের সকল শ্রেণীর মানুষদের পাশে রেখে দেশ পরিচালনা করাটাই হচ্ছে তাদের কঠিন চ্যালেঞ্জ।