– ডা. গোবিন্দ চন্দ্র রায়
বয়স ৩০ বছরের বেশি হলে প্রতি পাঁচ বছর অন্তর একবার রক্তের চর্বির মাত্রা পরীক্ষা করা উচিত। চর্বির মাত্রা বেশি হলে তা হৃদরোগ ও পক্ষাঘাতের ঝুঁকি বাড়ায়। জীবনাচরণ পরিবর্তন করে ও প্রয়োজনে ওষুধ সেবন করে রক্তে চর্বির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। এবার জেনে নিন কীভাবে রক্তে চর্বির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখবেন।
হাঁটুন এবং হাঁটুন: কায়িক শ্রম ও ব্যায়াম ক্ষতিকর কোলেস্টেরল বা চর্বির মাত্রা কমায়, আর উপকারী চর্বি এইচডিএলের মাত্রা বাড়ায়। নৈশভোজের পর কমপক্ষে ৪৫ মিনিট হাঁটুন। যাঁরা অফিসে সারা দিন বসে কাজ করেন, তাঁরা প্রতি ঘণ্টায় একবার পাঁচ মিনিট হাঁটা বা চলাফেরা করুন।
লাল মাংস ও চর্বি বাদ: সম্পৃক্ত চর্বিযুক্ত খাবার, যেমন: ঘি, মাখনের তৈরি খাবার, গরু ও খাসির লাল মাংস বাদ দিন। আমিষের উৎস হিসেবে মাছ বেছে নিন।
আঁশযুক্ত খাবার চাই: প্রতিদিন অন্তত ২০ থেকে ৩৫ গ্রাম আঁশ খাওয়া উচিত। এই আঁশ পাবেন তাজা খোসাসহ ফলমূল, সবজি, গোটা শস্যের তৈরি খাবারে। এই আঁশ রক্তের চর্বি কমাবে।
বেশি বেশি মাছ: মাছ ও মাছের তেল কোলেস্টেরল কমায়। এতে থাকে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। সপ্তাহে অন্তত ২ থেকে ৩ বার মাছ খাওয়া উচিত।
ধূমপানকে না: ধূমপান চিরতরে ছেড়ে দিন। নিকোটিন রক্তনালির আরও ক্ষতি করে ও উপকারী চর্বি কমায়।
শর্করা রাখুন নিয়ন্ত্রণে: অনিয়ন্ত্রিত শর্করা রক্তে ও যকৃতে চর্বি হিসেবে জমা হতে থাকে। তাই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
ডাঃ মনা ইয়োগা ওয়ার্ল্ড এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান প্রশিক্ষক লায়ন ডাঃ কামরুল ইসলাম মনা বলেন, লাইফ স্টাইল এবং খাদ্যভাস পরিবর্তন এর পাশাপাশি প্রাণায়াম যোগ করলে শুধু রক্তেই নয়, শরীর থেকেও চর্বি কমাতে কল্পনাতীত ফলাফল পাওয়া যায়। সেই সাথে কিছু ঘরোয়া টোটকা মেনে চললে তো আর কোন কথায় নেই,,,,,।
তাই আসুন আমরা নিজে যোগ করি এবং অপরকে যোগ করতে উৎসাহিত করি। শরীর ফিট তো আপনি হিট। যোগ করুন নীরোগ থাকুন। নিজের ডাক্তার নিজেই হয়ে উঠুন। আমাকে যোগী মা দিন আমি নীরোগ জাতি উপহার দিবো।
যোগ, জটিল জটিল রোগ এবং ঘরোয়া টোটকা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ০১৭১২২৭৬৭৫৩