মোঃ সিহাবুল আলম সম্রাট,বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান রাজশাহী
ডাক্তার মোহাম্মাদ রেজাউল হক সরকার আজকে দুপুরে ইন্তেকাল করেছেন “ইন্না-লিল্লাহি ওয়াইন্নাইলাইহি রাজিউন”। আল্লাহ জান্নাত এর সর্বোচ্চ সম্মান ও স্থান দান করুন মোহাম্মাদ রেজাউল হক সরকার কে ।
০৭ আগস্ট (বুধবার) ২০২৪ইং সকাল ১১:১৫ মিনিটে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। সন্ধ্যা ৭:৪৫ মিনিটে জানাযার নামাজ রাজশাহী জেলার চারঘাট উপজেলার গ্রাম শিবপুর (বানেশ্বর) নিজ বাসভবনে অনুষ্ঠীত হয়।
ডাক্তার মোহাম্মাদ রেজাউল হক সরকার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয় ও সে দেশ থেকে পালিয়ে যায় এ খবর সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। তার নিজ এলাকায় কিছু কিছু বাড়ি তে হামলা হয়। ডাক্তার মোহাম্মাদ রেজাউল হক সরকার এই হামলা ঠেকানোর জন্য মানুষ জনদের বোঝায়, বোঝানোর পর তারা ফিরে যায়।
কিছু সময় পর আবার সেই বাড়ি তে হামলা ও আগুন দেয়ার মতো পরিস্থিতি হলে ডাক্তার মোহাম্মাদ রেজাউল হক সরকার সেখানে আবার যায় বোঝানোর ও আটকানোর জন্য কিন্তু তিনি ব্যর্থহন। অন্য কে বাঁচাতে গিয়ে তার মাথায় ও হাতে আঘাত লাগে পরে তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে মাথায় সেলাই দেয়া লাগে ও হাত প্লাস্টার করা লাগে। অনেক রক্ত ক্ষরণ হয়। পরের দিন হার্ট এর কন্ডিশন খারাপ হবার কারণে তাঁকে কার্ডিওলজি সেকশন এ ৩২ নং ওয়ার্ড এ এডমিট করানো হয়। এর পর ICU তারপর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে এবং তিনি মারা যান।
মানবতার অগ্রদূত এই মহান ব্যক্তি ডাক্তার মোহাম্মাদ রেজাউল হক সরকার ০৯ নভেম্বর ১৯৬১ সালে জন্মগ্রহণ করেন। স্ত্রী ও তিন ছেলে। তার ৬২ বছরের জীবনে তিনি অনেক মানুষ কে সাহায্য সহযোগিতা করেছেন। তিনি পেশা তে একজন ডাক্তার ছিলেন, তার জীবন অন্যের সেবা করতে করতেই কোরবান হয়ে গেলো। তার মতো এমন উদার মানুষ এ যুগে পাওয়া খুব দুষ্কর। তিনি গরীবের ডাক্তার হিসেবে পরিচিত। তার কাছে ডাক্তারি ফি লাগে না বরং তিনি নিজেই যারা ওষুধ কিনতে পারে না তাদের ওষুধ কিনে দেন ও যাদের অপারেশন লাগবে তাদের আর্থিক সাহায্য সহযোগিতা করতেন।তার জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত সত্যের পথে থেকেছেন ও অন্যের বিপদে সাহায্য করেছেন। এই মহান মানুষ এর বিষয় একটাই কথা বলতে ইচ্ছে করে ” এমন জীবন তুমি করিবে গঠন / মরণে হাসিবে তুমি কাঁদিবে ভুবন “।