মোঃ মশিউর রহমান সুমন।
মেহেন্দিগঞ্জ, (বরিশাল) প্রতিনিধিঃ
সরকার আলু, পেয়াজ ও ডিমের দাম ভোক্তারা পর্যায়ে নির্ধারন করে দিয়েছিলো গত ১৪ সেপ্টেম্বর। এরই মধ্যে কেটে যায় ১০দিন।বেঁধে দেওয়া দাম এখনও কার্যকর হয়নি বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জে। বরং কিছু ক্ষেত্রে আলু- পেয়াজের সংকট দেখা গেছে খুচরা বাজারে।
দেশ চ্যানেলের অনুসন্ধানে সরেজমিনে দেখা যায়,মেহেন্দিগঞ্জ, পাতারহাট বাজার ঘুরে এমন দৃশ্য। শনিবার বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হয়েছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়। দেশি পেয়াজের দাম রাখা হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০টাকা। প্রতি হালি ডিম ৫০ টাকা। মেহেন্দিগঞ্জের বিভিন্ন গ্রামে কোথাও কোথাও ডিম বিক্রি হতে দেখা গেছে প্রতি হালি ৫২ থেকে ৫৫ টাকায়।
এদিকে বরিশাল, সিরাজগঞ্জসহ বেশ কিছু জেলা থেকেও আলুর সংকটের খবর পাওয়া গেছে।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর আলুর খুচরা দাম প্রতি কেজি ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা ও পেয়াজ ৬৪ থেকে ৬৫ টাকা বেঁধে দেয় বানিজ্য মন্ত্রণালয়। এছাড়াও ডিমের ডজন ১৪৪ টাকা নির্ধারন করে দেওয়া হয়।
বাজার পরিস্থিতি নিয়ে আলু ও পেয়াজ ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন বলেন, পাইকারিতে ডিমের দাম সামান্য কমেছে। তাতে খুচরায় কমানোর মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। বরং মুন্সি গঞ্জ এলাকায় দুইদিন আলু বিক্রি বন্ধ থাকায় উল্টো দাম বাড়ছে।
আলী আহমেদ নামের একজন বিক্রেতা বলেন, ভোক্তা অধিকার এসে জরিমানা করে খুচরা ব্যবসায়ীদের। এতে ছোট ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। বাধ্য হয়ে অনেককে কম দামে পন্য বিক্রি করতে হচ্ছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে খুচরা বাজারে কম দাম পন্য বিক্রির সুযোগ তৈরি হয়নি। তিনি আরো বলেন, অভিযানের ভয়ে পাইকারি বাজারে অনেকে আলু -পেয়াজ বিক্রি বন্ধ রেখেছে। ভারতের আমদানি করা পেয়াজ কম দামে বিক্রি করা যায়। সেই পেয়াজ এখন পাওয়াই যাচ্ছে না।বাধ্য হয়ে দেশি পেয়াজ বেশি দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, সরকার আলু ও পেয়াজের দাম নির্ধারন করে দিলেও পাইকারিতে আমাদের বাড়তি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে। সে জন্য আমরাও সেভাবে কম রাখতে পারছিনা।
এসময় তিনি আলুর হিমাগার এবং পেয়াজের বড় আড়তে অভিযান পরিচালনা করার দাবি জানান।