এম এ হাই,সাঁথিয়া (পাবনা) প্রতিনিধি
ঐতিহাসিক সাঁথিয়া থানা হানাদার মুক্ত দিবস আজ। ১৯৭১ সালের এইদিনে পাবনার সাঁথিয়া থানা সম্পূর্ণ হানাদার মুক্ত হয়েছিল। দিবসটি যথাযথভাবে পালন উপলক্ষ্যে সাঁথিয়ায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও মুক্তিযুদ্ধা সন্তান কমান্ড বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করেছে ।
১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের আহবানে সারা দিয়ে যুদ্ধকালীন কমান্ডার সাবেক সাঁথিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা নিজাম উদ্দিনের নেতৃত্বে এলাকার ছাত্র যুবক তরুণেরা সংগঠিত হতে থাকে। সাঁথিয়া হাইস্কুল মাঠে এরা প্রশিক্ষণ গ্রহন করে। ২৭ মার্চ সাঁথিয়া পশু হাসপাতাল প্রাঙ্গনে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করে আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন। যুদ্ধে অনেক মুক্তিযোদ্ধারা শহিদ হন। এলাকার শত শত যুবতী ও মহিলারা সম্ভ্রম হারান। সাঁথিয়ায় পাকসেনারা এলাকায় বহু লোকের ঘর-বাড়ি জালিয়ে পুড়িয়ে দেয় ও ব্যাপক লুটপাট চালায়। ৮ ডিসেম্বর সাঁথিয়ার সকল মুক্তিযোদ্ধারা একত্রিত হয়ে থানা সদর থেকে ২ কিঃ মিঃ পশ্চিমে নন্দনপুরে পাক হানাদারদের সাথে চূড়ান্ত মোকাবিলায় অবতীর্ণ হয়। মুক্তিযুদ্ধাদের তুমুল আক্রমনে টিকতে না পেরে পাকসেনারা পিছু হটতে বাধ্য হয়। পরদিন ব্যপক প্রস্তুতি নিয়ে পাক হানাদাররা আবার সাঁথিয়া আক্রমনের উদ্দেশ্য আসতে থাকে। মুক্তিযোদ্ধারা বিষয়টি আঁচ করতে পেরে সাঁথিয়া-মাধপুর সড়কের নন্দনপুর-জোড়গাছার মধ্যবর্তী ব্রীজটি বোমা মেরে উড়িয়ে দেয় এবং বাঙ্কার তৈরী করে সেখানেই তারা অবস্থান নেয়। সেদিন বীরমুক্তিযোদ্ধাদের তীব্র বাধার মুখে পাক সেনারা আবার পিছু হটে চলে যায়। পরদিন ৯ ডিসেম্বর সাঁথিয়ার মুক্তিযোদ্ধারা সাঁথিয়া থানা চত্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে সাঁথিয়া থানাকে হানাদার মুক্ত ঘোষণা দেন।