বিপ্লব সাহা, খুলনা ব্যুরো:
বিএনপি সরকার পতনের এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষে আন্দোলনের সর্বশেষ চ্যালেঞ্জিং সর্ববৃহৎ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়া পল্টনে আয়োজিত সমাবেশ সফলে ব্যর্থ হয়ে সারা দেশব্যাপী
আজ ২৯ অক্টোবর রবিবার সকাল সন্ধ্যা হরতালের ডাক দেয় দলটির যুগ্ম মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তবে সারাদেশে যেমন তেমন খুলনা নগরীর বৈকালি এলাকায় বিএনপির একটি কার্যালায়ে দুর্বৃত্ত কর্তৃক অগ্নিসংযোগ ছাড়া সম্পূর্ণ নিরুত্তাপ ভাবে পালিত হচ্ছে বিএনপি জামাতের ডাকা সকাল সন্ধ্যা হরতাল।
হাজার আন্দোলন সংগ্রাম গেলেও দীর্ঘদিন পরে ডাকা হরতালের প্রভাব পড়েনি খুলনায়। দেখা যায়নি রাজপথে বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের নজরে পড়েনি কোথাও কোনো বিএনপি-জামাত দলীয় পিকেটারদের ।
যথা সময় খুলনা রেলস্টেশন থেকে বিভিন্ন রুটের রেল ছেড়ে গেছে।
সোনাডাঙ্গা আন্তজেলা বাস টার্মিনাল থেকে ছেড়ে গেছে বিভিন্ন রুটের দূরপাল্লার বাস চলছে গণ পরিবহন ও ইজিবাইক রিকশা।
খুলেছে দোকানপাট মার্কেট শপিংমল
সাধারণ মানুষদের মাঝে হরতালের আতঙ্কের কোনো প্রভাব লক্ষ্য করা যায়নি।
নগরীর প্রধান প্রধান এলাকা গুলি প্রশাসনের কর্মকর্তারা কঠোর নজরদারীর মধ্য রেখেছে।
বিএনপি’র নেতা কর্মীদের কোন মিছিল ও পথসভা স্বরূপে না থাকলেও দেখা গেছে ক্ষমতাশীল আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে হরতাল বিরোধী খন্ড খন্ড মিছিল।
খুলনায় আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে সকাল থেকে ঊর্ধ্বতন নেতাগণ সমবেত হয়েছে।
এ সময় খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা বলেছেন বিএনপি জামাত তাদের দোসররা স্বরূপে ফিরে জালাও পোড়াও হত্যাযজ্ঞে লিপ্ত হয়েছে।
তিনি আরো বলেন এটাই আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে পার্থক্য আওয়ামী লীগ দেশ ও জাতির উন্নয়নে কাজ করে আর বিএনপি জামাত ও তাদের দোসররা দেশ ধ্বংসের কাজে লিপ্ত থাকে তাই হরতালের নামে হত্যা অগ্নি সন্ত্রাস ও ভাঙচুরে লিপ্ত হলে দাঁতভাঙ্গা জবাব দেওয়া হবে।
পাশাপাশি খুলনা কে এমপি কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হক কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন হরতালের নামে কোন নাশকতা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না।
তাছাড়া সাধারণ মানুষের জান মালের উপরে আঘাত হানে এমন কোন ঘটনাকেও প্রশ্রয় দেওয়া হবে না।
নিরুত্তাপ এই হরতালে বিএনপি জামাতের কোনো নেতা কর্মীদের নগরীর রাজপথে মিছিল স্বরূপে দেখা না গেলেও নগরীর কেডি ঘোষ রোডস্থ বিএনপি’র দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপি জামাতের নেতাকর্মীরা জড়ো হয়ে গতকালকের নৃশংস ঘটনা ও মীর্জা ফখরুলকে আটকের বিষয় তুলে ধরে সরকারের সকল বিষয়ের উপরে ব্যর্থতার দিক নিয়ে বক্তব্য দিয়েছে।
এ সময়ে বিএনপি দলীয় সূত্র থেকে বলেছে এখন শুধুমাত্র হরতাল ডাকা হয়েছে এরপরে অসহযোগ আন্দোলন অনশন কর্মসূচি আরও কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে জনগণকে পাশে নিয়ে আরো তীব্রতর আন্দোলনের দুর্গ গড়ে তুলে ফ্যাসিস্ট বাদি অত্যাচারী স্বৈরাচার সরকারকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হবে।