আব্দুল্লাহ আল মামুন পিন্টু, টাঙ্গাইলঃ
পরিবেশবান্ধব হওয়ায় দিন দিন এর চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে এসব পণ্য। দেলদুয়ারের বর্ণী, প্রয়াগজানী ও কোপাখী গ্রামে বাঁশের তৈরি হস্তশিল্পের কাজ বেশি হচ্ছে। এ শিল্পের প্রধান উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করছেন আন্তর্জাতিক কারু শিল্পী নূরুন্নবী।
টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার বর্ণী, প্রয়াগজানী ও কোপাখী গ্রামের প্রায় প্রত্যেক বাড়িতে নারী পুরুষ বাঁশ ও বেত দিয়ে বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী তৈরি করছেন। দেখে মনে হবে পুরো গ্রামই যেন কুটির শিল্পের কারখানা। এসব গ্রামের প্রায় সকল বাড়ির অধিকাংশ লোকজনেরই এটাই প্রধান পেশা। তাদের মূল উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করছেন বারপাখিয়া গ্রামের ছেলে আর্ন্তজাতিক কারু শিল্পী নূরুন্নবী। তিনি বর্ণী দক্ষিণ পাড়ায় ‘নূরুন্নবী ব্যাম্বো ক্রাফট’ নামে একটি কারখানা গড়ে তুলেছেন। সেখানে প্রায় ৬০/৭০ জন নারী পুরুষ প্রতিদিন কাজ করেন। এছাড়াও প্রায় শতাধিক পরিবারের লোকজন বাড়িতে বসে কাজ করেন। তাদের তৈরি করা পণ্য নূরুননবীর কারখানায় এনে বিক্রী করেন।
কারু শিল্পী নূরুন্নবীর সাথে কথা বলে জানা যায়, ১৯৯০ সাল থেকে তিনি হস্তশিল্পের কাজ করছেন। ২০০৪ সালে তিনি এই কারখানাটি গড়ে তুলেন। বর্তমানে বাণিজ্যিকভাবে বিভিন্ন ধরনের বাস্কেট, টেবিল ল্যাম্প, প্লেস ম্যাট, বিভিন্ন ধরনের ট্রে, মোড়া, ফলের ঝুড়ি, টিস্যু বক্স, গয়নার বাক্স, জানালার পর্দা, ওয়েস্ট পেপার ঝুড়ি, ড্রিংকস বোতলের ঝাড়সহ নানা ধরনের সৌখিন পণ্য তৈরি করছেন। রাজধানী ঢাকার বড় বড় শপিং মলগুলো তার প্রধান ক্রেতা। এছাড়াও বিভিন্ন রপ্তানিকারকদের মাধ্যমে প্রায় ১০/১২টি দেশে তার বাঁশ বেতের তৈরি হস্তশিল্প রপ্তানি হচ্ছে। সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতা পেলে এ শিল্পকে আরও এগিয়ে নেয়া সম্ভব বলে তিনি জানান।
কারু শিল্পী নূরুন্নবী এসব গ্রামের অনেক বেকার মানুষের কর্মসংস্থানের করে দিয়েছেন। এখানকার কোন মানুষ এখন বেকার বসে থাকেন না। প্রায় সবাই এখন বাশঁ-বেতের কাজ করে সংসার চালাচ্ছেন। হচ্ছেন আর্থিকভাবে সাবলম্বী।
জেলার ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. জামিল হুসাইন বলেন, টাঙ্গাইলের ঐতিহ্যবাহী বাঁশ-বেতের শিল্পের আরও সম্প্রসারণ করতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হবে।