হাফিজুর রহমান কাজল, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি
দামুড়হুদায় দুই/তিন দিনের মধ্যে বেড়ে গেছে চাল, ডাল, আটা, মসলা, ভোজ্যতেল, ডিম, সবজি, মাছ, মাংসসহ নিত্যপণ্যের দাম। নিত্যপ্রয়োজনীয় এসব পণ্য কিনতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন মধ্য ও নিম্নবিত্তসহ সাধারণ ক্রেতারা। সব ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে বলে জানালেন তারা। সব থেকে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষের।
গত বুধবার বিকালে দামুড়হুদা বাসস্ট্যান্ডসংলগ্ন কাঁচাবাজারসহ বিভিন্ন মুদি দোকানে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, বাজার করতে আসা সাধারণ ক্রেতারা নিত্যপণ্য কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন। সব ধরনের পণ্য বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে। কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি দরে, পেঁয়াজ ১১০ টাকা, রসুন ২৪০ টাকা, বেগুন ১০০ থেকে ১২০ টাকা, করলা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, বরবটি ১৫ থেকে ২০ টাকা আটি, কচুরমুখী ৬০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, শসা ৭০ টাকা, আলু ৬০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৫০ থেকে ৬০ টাকা।
আটা প্রতি কেজি ৪০ টাকা, চিনি ১২০ টাকা, জিরা ৭২০ টাকা, মসুরি ডাল দেশি ১৩০,বিদেশি ১১০ টাকা, মটরের ডাল ১৪০ টাকা, চাল ৫০ থেকে ৮০ টাকা, সরিষার তেল প্রতি কেজি লুজ ১৮০ টাকা বোতল ২০০ টাকা, সয়াবিন তেল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে লুজ ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
নিত্য প্রয়োজনীয় এসব পণ্যের দাম বাড়ায় নাভিশ্বাস উঠেছে মধ্য – নিম্নবিত্তসহ সাধারণ ক্রেতাদের। দিনমজুরসহ খেটে খাওয়া মানুষের আরো বেশি বিপাকে পড়েছেন। জীবনের চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।
কথা হয় উপজেলার হাউলী গ্রামের গৃহিনী রোকেয়া খাতুনের সঙ্গে। তিনি বলেন, যেভাবে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। এমন চলতে থাকলে দুদিন পরে আমাদের পথে বসতে হবে।
দামুড়হুদা বাসস্ট্যান্ড বাজারের সততা স্টোরের মালিক খুচরা মুদি ব্যবসায়ী মাহবুব বলেন, মোকামে যেভাবে চাল, ডাল, ডিম, ভোজ্য তৈল বিশেষ করে চালের দাম প্রতিনিয়ত দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে সে কারণে ক্রেতা এবং বিক্রেতার মধ্যে এক ধরনের অস্থিরতা বিরাজ করছে।
এদিকে দামুড়হুদা বাসস্ট্যান্ড বাজারের সাপ্তাহিক হাটের সবজি ব্যবসায়ী জয়রামপুরের রেজাউল বলেন, এবার বাজারের সব পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃষ্টির কারণে ফসলের ক্ষতি হয়েছে। এ কারণে সবজি,চালসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।বাজারে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ অনেক কম।এ কারণে কাঁচা সবজির দাম চড়া। তবে আজকে কিছুটা সবজির আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে তাই গত সপ্তাহের চেয়ে মনে হচ্ছে কিছুটা দাম কম।
মুরগি ও মাংস বিক্রেতা দামুড়হুদার ইন্তাজুল ও চিৎলার রহিম জানান, বয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৯০ টাকা, দেশি মুরগি ৫৮০ টাকা, লেয়ার মুরগি ৩২০ টাকা, সোনালি মুরগি ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা প্রতি কেজি, গরুর মাংস প্রতি কেজি ৭০০ টাকা, মহিষের মাংস ৭৫০ টাকা প্রতি কেজি, খাসির মাংস ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়াও ফার্মের মুরগির ডিম প্রতি হালি ৫৮ টাকা, দেশি মুরগির ডিম ৮০ টাকা, হাঁসের ডিম ৭০ থেকে ৭৫ টাকা হালি বিক্রি হচ্ছে।
দামুড়হুদা বাজারের মাছ বিক্রেতা বাদল হালদার জানান, সিলভার কার্প প্রতি কেজি ১৬০ থেকে ২০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, পোনা মাছ ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, রুই ২৬০ থেকে ৩৫০ টাকা ,পাঙ্গাশ ১৬০ থেকে ১৯০ টাকা, বড় চিংড়ি ৮৫০ থেকে ১ হাজর টাকা,কাতল২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, চাষের শিং মাছ ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, কই মাছ ২০০ টাকা, বড় ইলিশ ১ হাজার ৭০০ টাকা থেকে ২ হাজার টাকা, ছোট ইলিশ ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সাগরের মাছ রূপচাঁদা প্রতি কেজি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, বড় পুঁটি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, রকেট ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, কাটলে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।