মোঃ আরফাতুল ইসলাম সানি কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি:
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) কক্সবাজারের চকরিয়ায় পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড মজিদিয়া মাদ্রাসা পাড়া এলাকায় দেরটায় এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ঘাতক স্বামীকে মেহেদীকে শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে পার্বত্য বান্দরবানের লামা থেকে আটক করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী জানাই নিহত উম্মে হাফসা তুহি (১৮) ওই এলাকার সাংবাদিক আবদুল হামিদের মেয়ে আর আহত পারভীন আক্তার (৩৮) আবদুল হামিদের স্ত্রী। শওকত হাসান মেহেদী (২৩) উপজেলার ফাঁশিয়াখালী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড আজম উল্লাহ পাড়ার আবুল হাশেমের ছেলে। সে পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি।
সাংবাদিক আবদুল হামিদ বলেন, ৮ মাস আগে আমার মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে যায় মেহেদী। এ নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। এর জের ধরে আমার মেয়েকে তার স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন নির্যাতন করতো। গত ডিসেম্বর মাসের ৫ তারিখ মেয়ে নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে আমাকে খবর দিলে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসি। বৃহস্পতিবার মেহেদি আমার বাড়িতে আসে।
শুক্রবার সকালে তুহিকে স্বামীর বাড়িতে নিয়ে যেতে চাইলে আমি ও আমার স্ত্রী আমি বাধা দেই। আত্মীয়-স্বজন নিয়ে আসলে যেতে দেব বলার পর মেহেদি চলে যায়। পরে দুপুরে জুমার নামাজ চলাকালীন দেড়টার দিকে মেহেদি অতর্কিত এসে তুহি ও তার মাকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে জুমার নামাজ শেষে এসে তাদের আহত অবস্থায় দেখে দ্রুত হাসপাতালে নেয়া হলে তুহিকে মৃত ঘোষণা করে। পরে গুরুতর আহত আমার স্ত্রী পারভীন আক্তারকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে রেফার করেছে কর্তব্যরত চিকিৎসক।