মোঃ জাকির হোসেন নীলফামারী প্রতিনিধি
নীলফামারীর সৈয়দপুরে স্বামীর কাছে নতুন স্কুল ড্রেস চাওয়ায় বেধম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এক গৃহিণী। পরে এ ঘটনায় পারিবারিক হামলায় আহত হন ওই গৃহিণীর শ্বাশগুড়িও। বর্তমানে তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
(৪ জানুয়ারি) বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় শহরের মিস্ত্রিপাড়া নবীনগর এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
জানা গেছে, দেড় বছর আগে আহত গৃহিণী মুসকান (১৫) এর বিয়ে হয় মিস্ত্রিপাড়া নবীনগর এলাকার বাসিন্দা আজগার আলীর সাথে। বিয়ের সময় মুসকান সৈয়দপুর পাইলট গালর্স স্কুল এন্ড কলেজের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। এখন সে ১০ শ্রেণিতে পড়ছে। ঘটনার দিন স্বামীর কাছে স্কুলের নতুন ড্রেস বানানোর কথা জানালে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে উত্তেজিত স্বামী আজগর, দেবর আশরাফ ও ভাসুর আকতার মুসকানকে বেদম মারপিট করে। এসময় স্বামী আজগর স্ত্রী মুসকানের মাথায় গরম পানি ঢেলে দেয়। এতে মুসকানের কপাল পুড়ে যায়। খবর পেয়ে মুসকানের পিতা কালিম মেয়েকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে এ নিয়ে উভয় পরিবারের মধ্যে ঝগড়া বাধলে আজগরের মা ফাতেমা বেগম আহত হন। তাকেও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে বউ-শ্বাশুড়ি সৈয়দপুর ১০০ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আহত মুসকানের অভিযোগ, তার স্বামী আজগর তাকে পড়াশুনা করাতে চায় না এবং বিভিন্ন সময় বাপের বাড়ি থেকে ব্যবসার নামে টাকা আনতে চাপ প্রয়োগ করতো।
স্বামী আজগর মুসকানের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ঘটনার দিন আমার স্ত্রী ও শ্বাশুড়ি পরিকল্পিতভাবে আমাদের বাড়িতে এসে আমার মাকে মারধর করে। এতে আমার মা আহত হয়।
তবে উভয় পরিবার কেউ কারো বিরুদ্ধে থানায় কোন অভিযোগ দায়ের করেননি।
সৈয়দপুর পৌরসভার সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর রুবিনা সাকিলের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, উভয় পক্ষের মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। বর্তমানে বউ-শ্বাশুড়ি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। উভয় পক্ষ যদি আপোষ মিমাংসা করতে চাইলে আমরা এ বিষয় নিয়ে বসবো এবং আপোষ মিমাংসা করে দেবো।