মোঃ আতিকুর রহমান আজাদ মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ
নিয়ম নীতিকে তোয়াক্কা না করে মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার সৈয়দ আবুল হোসেন একাডেমী, সাহেবরামপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও মিয়ারহাট উচ্চ বিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মডেল টেষ্ট পরীক্ষার নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এদিকে উপজেলা মাসিক সমন্বয় সভায় উক্ত বিষয় নিয়ে আলোচনার প্রেক্ষিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোচিং, প্রাইভেট বানিজ্য ও মডেল টেষ্ট পরীক্ষা বন্ধ রাখার জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের স্বাক্ষরিত একটি পরিপত্র জারি করা হয়েছে। অপরদিকে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করায় চরমক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিভাবক ও স্থানীয় সচেতন মহল।
উপজেলা প্রশাসন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার সৈয়দ আবুল হোসেন একাডেমী, সাহেবরামপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও মিয়ারহাট উচ্চ বিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মডেল টেষ্ট পরীক্ষার নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থ আদায় করেছেন ওই সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা। এ বিষয়টি জানাজানি হলে গত ২৮-০৪-২৫ ইং তারিখ উপজেলা মাসিক সমন্বয় সভায় এ বিষয়টি আলোচনায় উঠে আসেন। পরে সমন্বয় সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোচিং, প্রাইভেট বানিজ্য ও মডেল টেষ্ট পরীক্ষা বন্ধ রাখার জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের স্বাক্ষরিত একটি পরিপত্র জারি করা হয়। অপরদিকে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করায় চকালকিনিতে মডেল টেষ্ট পরীক্ষার নামে অর্থ আদায়ের অভিযোগ
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয় সচেতন মহল ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, নিয়ম নীতিকে তোয়াক্কা না করে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে চাঁপ প্রয়োগ করে মডেল টেষ্ট পরীক্ষার নামে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। আমরা অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিচার চাই। এবং আমাদের টাকা ফেরত চাই।
সৈয়দ আবুল হোসেন একাডেমীর ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. ইউনুস আলী বলেন, মডেল টেষ্ট পরীক্ষার জন্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আমরা সাড়ে ৫ লাখ থেকে প্রায় ৬ লাখ টাকা উত্তোলন করেছি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. আশরাফুজ্জামান বলেন, উপজেলার সৈয়দ আবুল হোসেন একাডেমী, সাহেবরামপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও মিয়ারহাট উচ্চ বিদ্যালয়ে মডেল টেষ্ট পরিক্ষা শুরু করেছিলো। পরে উপজেলা মাসিক সমন্বয় সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোচিং, প্রাইভেট বানিজ্য ও মডেল টেষ্ট পরীক্ষা বন্ধ রাখার জন্য একটি পরিপত্র জারি করা হয়েছে। তবে পরিক্ষার নামে যে কয়টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা উত্তোলন করেছে তার তালিকা তৈরী করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতি উত্তম কুমার দাশ বলেন, মডেল টেষ্ট পরীক্ষার বিষয়ে শিক্ষা অফিসার একটি পরিপত্র জারি করেছেন। তবে পরীক্ষার নামে টাকা উত্তোলনের বিষয়ে শিক্ষা অফিসারের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।