রফিকুল ইসলাম
দুর্গাপুর(নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
নেত্রকেনার দুর্গাপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুই নারীকে মারধর ও বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার সকালে স্থানীয় সাংবাদিকদের বিষয়টি জানান বাকলজোড়া গ্রামের মোঃ বাচ্চু মিয়া (৫৬)। এ নিয়ে থানায় শনিবার( ১০ ফেব্রুয়ারী) ৩জনকে অভিযুক্ত করে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন বাচ্চু মিয়া।
অভিযুক্তরা হলেন,১। বুরুজ আলী (৫৮) ২। রেনুজা খাতুন (৫০) ৩। লিমা আক্তার (২৬)।তাদের সকলের বাড়ি বাকলজোড়া গ্রামে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত রোববার (৪ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যা অনুমান ০৬ টার সময় অভিযুক্তরা লাঠিসোঠা ও দেশীয় অস্ত্র হাতে নিয়ে বাচ্চু মিয়ার বসত বাড়িতে প্রবেশ করে
বাড়ির লোকজনদের অশ্লীল ভাষায় গাল মন্দ করতে থাকে অভিযুক্তরা৷ এ সময় বাচ্চু মিয়ার স্ত্রী মদিনা খাতুন গাল মন্দের প্রতিবাদ করলে অভিযুক্তরা তাঁকে মারধর করে
শরীরের বিভিন্নস্থানে যন্ত্রনা দায়ক নীলাফুলা জখম করে। এ দৃশ্য থেকে হেপি অভিযুক্তদের হাত থেকে মদিনা খাতুনকে রক্ষা করতে গেলে তখন অভিযুক্তরা তাঁকেও মারধর করে। এ সময় মদিনা খাতুন দৌড় দিয়ে ঘরের ভিতর প্রবেশ করলে তাঁর পিছু ধাওয়া করে ঘরের ভিতর ডুকে অভিযুক্তরা তাঁকে টেনে হিচড়ে ঘর থেকে বাহির করে৷ অভিযুক্ত রেনুজা খাতুন হেপির ডান হাতে কামড় দিয়ে হাতের কব্জির উপর রক্তাক্ত জখম করে।
অভিযুক্ত বুরুজ আলী মদিনা খাতুনের চুলের মুঠি ধরে টানা হেঁচড়া করে শ্রীলতাহানী ঘটায়। পরে মদিনা ও হেপির ডাক চিৎকারে অভিযোগের সাক্ষীরা সহ আশপাশের লোকজন এসে অভিযুক্তদের হাত থেকে তাঁদের রক্ষা করে। এ সময় অভিযুক্তরা খুন জখমের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে । বাচ্চু মিয়া ঘটনার সংবাদ শুনে বাড়িতে এসে মদিনা ও হেপিকে উদ্ধার করে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক দু’জনকে ভর্তি রাখে । এছাড়াও অভিযুক্তরা বাচ্চু মিয়ার বসত ঘরের বেড়া ও ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর করে প্রায় ৩০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করে৷ বাচ্চু মিয়া থানা পুলিশের মাধ্যমে অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি জানান।
দুর্গাপুর থানার ওসি উত্তম চন্দ্র দেব বলেন, বাচ্চু মিয়া থানায় অভিযোগ দিয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।